সংকট কাটেনি, বিমানের আরও দুটি হজ ফ্লাইট বাতিল

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের হজযাত্রী সংকট এখনো কাটেনি। যাত্রীস্বল্পতার কারণে গতকাল বৃহস্পতিবারও দুটি হজ ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, গতকাল ঢাকা থেকে বিমানের চারটি হজ ফ্লাইট নির্ধারিত ছিল। যাত্রী না পাওয়ায় সকাল সাড়ে ৯টা ও দুপুর ১২টার ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। মধ্যরাতে আরও দুটি ফ্লাইট আছে, সেগুলো যথাসময়ে যাবে বলে বিমান কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছে।
এদিকে হজযাত্রী পরিবহন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে গতকাল সকালে সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে এক আন্তমন্ত্রণালয় সভা হয়।
সভা শেষে এক ব্রিফিংয়ে বিমানমন্ত্রী বলেন, হজযাত্রীদের গ্রুপ নির্ধারণের লক্ষ্যে (প্রতি গ্রুপে ৫০ জন) আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে মোয়াল্লেম, এজেন্সিভিত্তিক হজযাত্রীর সংখ্যা ও সৌদি আরবে হাজিদের জন্য ভাড়া করা বাড়ির ঠিকানাসংবলিত তালিকা হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) ধর্ম মন্ত্রণালয়ে দাখিল করবে। ধর্ম মন্ত্রণালয় এ তালিকা বাংলাদেশ বিমান ও সৌদিয়া এয়ারলাইনসের কাছে পাঠাবে। এ তালিকানুসারে টিকিট বিক্রি করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, কোন তারিখে কোন এজেন্সিকে কতজন হজযাত্রীর টিকিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, তার প্রতিদিনের হালনাগাদ তথ্য বিজনেস অটোমেশনকে অবহিত করবে বিমান ও সৌদিয়া। তিনি বলেন, বিমান হজযাত্রী পরিবহনের জন্য অতিরিক্ত স্লট বরাদ্দের জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করবে। বিমান কম যাত্রীর ফ্লাইটগুলো আগামী দিনে বেশি যাত্রী ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন বিমান ব্যবহার করবে।
বিমানমন্ত্রী বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয় রিপ্লেসমেন্টের (কোনো হজযাত্রী অসুস্থতার কারণে যেতে না পারলে বা কেউ মারা গেলে তার বিপরীতে পাঠানো) বিষয়টি সহজীকরণ করবে।
আন্তমন্ত্রণালয়ের সভায় বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ এম মোসাদ্দিক আহমেদ বলেন, বিমান ৪ আগস্ট হজ ফ্লাইট শুরু করে। যাত্রীর অভাবে ১১ থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত নয়টি ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। এ কারণে প্রায় পাঁচ হাজার যাত্রী পরিবহন ‘ক্যাপাসিটি’ হারিয়েছে বিমান। এ কারণে হজযাত্রী পরিবহনে সংকটের সৃষ্টি হতে পারে।
সভায় জানানো হয়, এ পর্যন্ত ৬৯ হাজার ৪৫১ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত ১২৫টি ফ্লাইটে ৪১ হাজার ৮৪০ জন যাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে অর্ধেক বিমান ও বাকি অর্ধেক সৌদিয়া পরিবহন করবে।
সভায় ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম গোলাম ফারুক, ধর্ম মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুন, ধর্মসচিব আবদুল জলিল, সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এহসানুল গনি চৌধুরী, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ এম মোসাদ্দিক আহমেদসহ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, ধর্ম মন্ত্রণালয়, হাব, আটাব ও সৌদিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।