যৌন হয়রানির মামলায় স্কুলশিক্ষক গ্রেপ্তার

বাগেরহাট জেলা সদরে একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার ঘটনার শিকার এক ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
শিক্ষার্থী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ের সহকারী ক্রীড়া শিক্ষক। গতকাল তিনি ছাত্রীদের ভলিবল খেলা তদারকি করছিলেন। এ সময় তিনি ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে স্কুলমাঠের এক পাশে আড়ালে নিয়ে যান এবং তার গায়ে হাত দেন। ওই ছাত্রী আপত্তি জানালে এ ঘটনা কাউকে জানাতে নিষেধ করেন তিনি। পরে ওই ছাত্রী তার অভিভাবকদের কাছে এ ঘটনার কথা জানায়।
ছাত্রীর মা বলেন, ‘ওই শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের বিভিন্ন ক্লাসের মেয়েদের শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছেন। হয়রানির শিকার মেয়েরা ও তাদের অভিভাবকেরা লোকলজ্জার ভয়ে মুখ খোলেন না। কিন্তু আমার মেয়ের ওপর নির্যাতনের কথা জেনে আমি চুপ থাকতে পারিনি। তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
ছাত্রীর মা অভিযোগ করেন, সহকারী ক্রীড়া শিক্ষক হলেও তাঁকে ইংরেজি, গণিত, বাংলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পড়ানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই সুযোগে তিনি এসব বিষয়ে ব্যাচ খুলে কোচিং করান। পরীক্ষায় ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে তিনি মেয়েদের নির্যাতন করেন।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান খান বলেন, ছাত্রীর অভিভাবকেরা লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর গতকাল দুপুরে বিদ্যালয় থেকে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একজন সহকারী শিক্ষককে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।