শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ, বিদ্যালয়ে তালা

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিবাদে গতকাল শনিবার এলাকাবাসী বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন এবং ইসলামপুর-মাহমুদপুর সড়ক অবরোধ করেন।
এলাকাবাসী ও বিদ্যালয় সূত্র জানায়, ২০০৪ সালে সরকারি বিধিমোতাবেক বিদ্যালয়ে শাহানা বেগম নামের একজন সহকারী শিক্ষক পদে যোগ দেন। চলতি আগস্টের প্রথম সপ্তাহে তিনি জানতে পারেন, বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের আর্থিক সুবিধা দিয়ে তাঁর স্থলে প্রধান শিক্ষক রুহুল আমীন তাঁর স্ত্রী ফারজানা খাতুনকে নিয়োগ দিয়ে তাঁর নাম এমপিওভুক্ত করিয়েছেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে শাহানা বেগমের আত্মীয়স্বজন, এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তাঁরা ফারজানা খাতুনের এমপিও বাতিল ও প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে গতকাল চিনাডুলী এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন করেন। পরে তাঁরা বিদ্যালয়ের কার্যালয় ও শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন।
শাহানা বেগম বলেন, ‘১২ বছর ধরে বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে আসছি। যখন বিদ্যালয়ে কিছুই ছিল না, তখনো শিক্ষার্থীদের নিয়মিত লেখাপড়া করিয়েছি। হঠাৎ জানতে পারি, আমার স্থলে প্রধান শিক্ষক অবৈধভাবে তাঁর স্ত্রীর নাম এমপিওভুক্ত করিয়েছেন। এ খবরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা হতভম্ব হয়ে যান। তাঁরাই অবৈধ এমপিও বাতিল ও প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়েছেন। এ বিষয়ে শিক্ষা কার্যালয়েও অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।’
প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন বলেন, ‘২০১৫ সালের ১ আগস্ট সহকারী শিক্ষক শাহানা বেগম স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। এরপর সরকারি বিধিমোতাবেক শূন্যপদে আমার স্ত্রীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপরও শাহানা বেগম মাঝেমধ্যে বিদ্যালয়ে এসেছেন, এটা সত্য। তাতে আমার কী করার আছে! তাঁর লোকজন গতকাল বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘এ বিষয়ে কেউ এখনো অভিযোগ দেয়নি। তবে বিদ্যালয়ে তালা লাগানোর বিষয়টি শুনেছি। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’