কে এই তামিম

তামিম সিলেটের বিয়ানীবাজারের বড়গ্রামের প্রয়াত আবদুল মজিদ চৌধুরীর নাতি। তামিমের বাবা শফি আহমদ। তামিম চৌধুরী তৃতীয় শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় বাবা-মায়ের সঙ্গে কানাডায় চলে যান। কানাডার উইন্ডসরে বড় হন। তিনি ২০১৩ সালের অক্টোবরে দুবাই হয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন বলে ২ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান।

গতকাল নারায়ণগঞ্জে অভিযানের পর আইজিপি শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, গুলশানে হামলা, শোলাকিয়ার ঘটনাসহ যতগুলো ঘটনা ঘটেছে, সব কটি তামিমের নেতৃত্বে ‘নব্য জেএমবি’ ঘটিয়েছে।

তামিমের জঙ্গি-সংশ্লিষ্টতার শুরু কীভাবে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি। তবে কানাডার ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট ডক্টরাল ফেলো অধ্যাপক অমরনাথ অমরাসিঙ্গাম গত ৮ জুন কানাডার পত্রিকা ন্যাশনাল পোস্টকে বলেছেন, তামিম চৌধুরী একসময় কানাডার অন্টারিওর উইন্ডসর শহরে থাকতেন। যাঁরা তামিমকে চিনতেন, তাঁরা বলেছেন যে তিনি শান্ত প্রকৃতির ছিলেন। এর বাইরে তামিম সম্পর্কে আর কিছু জানা যায়নি।

অধ্যাপক অমরনাথ আইএসের বিদেশি যোদ্ধাদের নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি বলেন, তিনি ওয়াসিম নামের এক ব্যক্তির কথা জানতে পারেন, যিনি সিরিয়ায় গিয়ে আহত হয়ে কানাডায় ফিরে আসেন। পরে ভুয়া পাসপোর্টে আবার সিরিয়ায় চলে যান। তামিম চৌধুরী ছিলেন ওই ওয়াসিমের বন্ধু।

তামিমের নিহত হওয়ার কথা জানিয়ে গতকাল কানাডায় গবেষক অমরনাথের সঙ্গে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে কথা বলেন কানাডাপ্রবাসী সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর। অমরনাথ তাঁকে বলেন, ‘আইএস সহজে তামিমের  স্থলাভিষিক্ত করতে পারবে না।’

পরে প্রথম আলোর পাঠানো ই-মেইলের জবাবে অমরনাথ বলেন, ‘এটা একটা বড় অগগ্রতি। যত দূর আমরা জানি, তামিম ও তার নিয়োগ করা কিছু লোক ছাড়া আইএস এখনো বাংলাদেশে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পারেনি। তার নিহত হওয়াটা বাংলাদেশে আইএসের উপস্থিতির ওপর একটা বড় ধাক্কা।’

অবশ্য বাংলাদেশ সরকার ও পুলিশ বরাবরই বলে আসছে, এ দেশে আইএসের (ইসলামিক স্টেট) কোনো অস্তিত্ব নেই। তামিম দেশীয় জঙ্গিগোষ্ঠী নব্য জেএমবির একজন নেতা।