মীর কাসেমের রিভিউ খারিজ

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর করা আবেদন খারিজ করেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার সকালে এই রায় ঘোষণা করেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।

মীর কাসেমের আইনি লড়াইয়ে রিভিউ আবেদনই শেষ ধাপ। এই আবেদন নাকচ হওয়ায় তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইতে পারবেন। প্রাণভিক্ষা না চাইলে বা প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হলে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে কোনো বাধা থাকবে না।

মীর কাসেমের আবেদনের ওপর গত রোববার শুনানি শেষ হয়। এরপর ৩০ আগস্ট (আজ) আদেশের তারিখ রাখেন আপিল বিভাগ। বিষয়টি আদেশের জন্য প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চের আজকের কার্যতালিকার এক নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়।

রায় ঘোষণা উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা-ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে দুটি অভিযোগে মীর কাসেমের ফাঁসি ও আটটি অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়। ওই বছরের ৩০ নভেম্বর আপিল করেন মীর কাসেম।

চলতি বছরের ৮ মার্চ আপিলের রায়ে ১৯৭১ সালে চট্টগ্রামের কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিমকে হত্যার দায়ে মীর কাসেমের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন সর্বোচ্চ আদালত। অন্য ছয়টি অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে তাঁর কারাদণ্ড বহাল রাখেন আদালত।

আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় গত ৬ জুন প্রকাশিত হয়। রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ১৯ জুন আবেদন করেন মীর কাসেম। এই রিভিউ আবেদনের ওপর ২৪ আগস্ট শুনানি শুরু হয়।

মীর কাসেম আলীকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১২ সালের ১৭ জুন গ্রেপ্তার করা হয়।

আরও পড়ুন: