ঝিনাইগাতীতে গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষ, বিজিবি সদস্যসহ আহত ১০

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার তাওয়াকুচা সীমান্তে এক যুবককে আটকের ঘটনায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বিজিবির ৪ সদস্যসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। গত বুধবার রাতে এই ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন বিজিবি তাওয়াকুচা ক্যাম্পের হাবিলদার ইলিয়াছ উদ্দিন (৪৫), ল্যান্স নায়েক মাহমুদ হাসান (৪৩), মোশাররফ হোসেন (৩৪) ও সৈনিক শহিদুল ইসলাম (৩৫) এবং তাওয়াকুচা গ্রামের মুহসিন আলীর স্ত্রী রাজিয়া বেগম (৫০), তাঁর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩২), ইয়াছিন আলীর স্ত্রী লাল ভানু (৫০), আবদুছ সাত্তার (৫০), তাঁর স্ত্রী গোলাপী বেগম (৫০) ও মেয়ে মাজেদা বেগম (২৭)। তাঁদের মধ্যে বিজিবির ইলিয়াছ ও শহিদুল ছাড়া বাকিদের ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে বিজিবির তাওয়াকুচা ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা উপজেলার তাওয়াকুচা সেতুর ওপর থেকে তাওয়াকুচা গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে রেহাল রানাকে (২৩) ভারতীয় মুদ্রাসহ আটক করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে রেহালের আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে গিয়ে বিজিবির সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে তাঁকে ছিনিয়ে নেন। একপর্যায়ে বিজিবির সদস্যরা গ্রামবাসীকে প্রতিরোধ করতে লাঠিপেটা করেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

বিজিবি তাওয়াকুচা ক্যাম্পের ইনচার্জ নায়েক সুবেদার ইয়াকুব আলী অভিযোগ করেন, রেহাল রানা একজন মাদক ব্যবসায়ী। তাঁর বিরুদ্ধে চোরাচালানের অভিযোগ রয়েছে।