স্কুলে যাতায়াত নিয়ে আর চিন্তা নেই প্রীতিলতার

স্কুলে যাওয়া-আসা নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী প্রীতিলতাকে।
তাঁকে গত ২৮ আগস্ট একটি ব্যাটারিচালিত হুইলচেয়ার দিয়েছে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ। এর আগে একটি হুইলচেয়ার ও একটি ট্যাব উপহার পেয়েছে সে।
২৮ আগস্ট দুপুরে কালীগঞ্জ উপজেলার মোস্তবাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে প্রীতিলতার হাতে ব্যাটারিচালিত হুইলচেয়ার তুলে দেন ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের সচিব মোহাম্মদ রিজাই রাফিন সরকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান, পরিচালনা কমিটির সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ, প্রীতিলতার নানা শান্তিসরণ প্রমুখ।
পা দুটি বাঁকা অবস্থায় জন্ম নেওয়া প্রীতিলতার বাড়ি যশোর সদর উপজেলার বারিনগর গ্রামে।
তবে বাবা প্রশান্ত সাহার মৃত্যুর পর থেকে সে নানা শান্তিসরণের বাড়ি কালীগঞ্জ উপজেলার মোস্তবাপুরে থাকে। মা সুজাতা জীবিকার প্রয়োজনে থাকেন ঢাকায়।
ফলে স্কুলে যাওয়া-আসার জন্য তাঁকে বৃদ্ধ নানার ওপরেই ভরসা করতে হয়। সেই সময় থেকে প্রীতিলতা তার নানা শান্তিসরণের কাছে থেকে বড় হচ্ছে।
বর্তমানে প্রীতিলতা মোস্তবাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী প্রীতিলতা সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। সে নানার বাইসাইকেলে চেপে স্কুলে আসত-যেত। নানার শরীর খারাপ হলে স্কুল বন্ধ হয়ে যেত। এভাবে কষ্ট করে চলছিল তার পড়ালেখা।
এ নিয়ে গত ২১ জুলাই প্রথম আলোয় ‘নানার সাইকেলের চাকা না ঘুরলে স্কুলে যাওয়া বন্ধ প্রীতিলতার’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন ছাপা হয়। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন অনেকে।
ঢাকার ওয়াকিং ক্লাব জুলাইয়ের শেষে প্রীতিলতার জন্য একটি হুইলচেয়ার পাঠায়। এ ছাড়া জম্পেশ ডট কম নামের শিক্ষামূলক একটি ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষ তাকে একটি ট্যাব উপহার দেয়। সেটা ব্যবহার করে প্রীতিলতা বাড়িতে বসেই পড়ালেখা করতে পারবে। এ ছাড়া কয়েকজন তাকে টাকাপয়সা দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।