নিরাপত্তাকর্মীদের পাহারায় ট্রেন চলে

চাঁদপুর-লাকসাম রেললাইনে ১৮-দলীয় জোটের নাশকতা ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের পাহারায় চলছে ট্রেন। ওই রেললাইনের ৫০ কিলোমিটারজুড়ে পালাবদল করে পাহারা দিচ্ছেন নিরাপত্তাকর্মীরা।
অবরোধের কারণে মেঘনা এক্সপ্রেস ও সাগরিকা ট্রেন নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কয়েক ঘণ্টা পর পর ছেড়ে যাচ্ছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার ভোর পাঁচটায় মেঘনা এক্সপ্রেস ছাড়ার কথা থাকলে এটি দুপুর ১২টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশে চাঁদপুর ছেড়ে যায়। সাগরিকা ট্রেন দুপুর ১২টার পরিবর্তে বেলা দুইটায় ছেড়ে গেছে। এ রেললাইনের অপর ডেমু ট্রেনটি নাশকতার আশঙ্কায় বন্ধ রাখা হয়েছে।
গতকাল দুপুরে ওই রেললাইনের বাকিলা-মনিহার রেলক্রসিংয়ে গিয়ে দেখা যায়, গ্রাম পুলিশ সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। এ সময় তাঁরা জানান, হাজীগঞ্জ উপজেলার ২ নম্বর বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের নির্দেশে তাঁরা দুই কিলোমিটারজুড়ে দায়িত্ব পালন করছেন। রাতে চারজন আর দিনে দুজন করে এ দায়িত্ব পালন করছেন।
মিজানুর রহমান জানান, নাশকতা এড়াতে বাকিলা রেলক্রসিং থেকে দেবপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত পালাবদল করে সাতজন গ্রাম পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে।
তাঁদের কাছে রেলওয়ে পুলিশের মুঠোফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনো দুর্ঘটনা বা মিছিল দেখামাত্রই ফোন করে খবর দিতে বলা হয়েছে।
হাজীগঞ্জ উপজেলা কার্যালয় থেকে জানা গেছে, বোয়ালজুরি সেতুর পূর্ব পাড় থেকে ওয়ারুক রেলস্টেশন পর্যন্ত আটজন, বোয়ালজুরি সেতুর পশ্চিম পাড় থেকে বাকিলা রেলক্রসিং পর্যন্ত চারজন গ্রাম পুলিশ দায়িত্বে রয়েছেন।
চাঁদপুর রেলওয়ে কার্যালয় থেকে জানা গেছে, গ্রাম পুলিশের পাশাপাশি আনসার-বিডিপি প্রতিটি ক্রসিংয়ে তিন-চারজন করে নিয়োগ করা হয়েছে। রেলের ট্রলি নিয়ে রেলওয়ে থানার পুলিশ সার্বক্ষণিক চাঁদপুর-লাকসাম রেললাইনে টহল দিচ্ছে।
বাকিলা রেলক্রসিংয়ে সূত্র জানায়, তাদের এলাকায় আনসার-বিডিপির কমান্ডার খাজা আহমঞ্চদের নেতৃত্বে কয়েকজন আনসার দায়িত্ব পালন করছেন।
সম্প্রতি এই রেলপথে নাশকতার ঘটনায় ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাতটি মামলা করেছে রেলওয়ে থানার পুলিশ।
চাঁদপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুভাষ কান্তি দাস জানান, ওই রেললাইনের ৫০ কিলোমিটারজুড়ে আনসার, বিডিপি, গ্রাম পুলিশসহ ১০৮ জন ও রেলওয়ে থানার পুলিশের ২৮ জন কর্মকর্তা পালাবদল করে পাহারা দিচ্ছেন।