বাঁশের সেতু ভেঙে চলাচলে সমস্যা

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ও মোহনপুরের সংযোগকারী বাঁশের সেতুটি ভেঙে গেছে। ছবিটি গত বৃহস্পতিবার তোলা l প্রথম আলো
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ও মোহনপুরের সংযোগকারী বাঁশের সেতুটি ভেঙে গেছে। ছবিটি গত বৃহস্পতিবার তোলা l প্রথম আলো

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ও মোহনপুরের সংযোগকারী বাঁশের সেতুটি ভেঙে গেছে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মাঝবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে গত বছর চন্দনা নদীর ওপর বাঁশের সেতুটি স্থাপন করা হয়। এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ যাতায়াত করে। মোহনপুরসহ আশপাশের শিক্ষার্থীরা কালুখালী কলেজ ও অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ সেতু দিয়ে যাতায়াত করে। এবারের বন্যায় তীব্র স্রোতে সেতুটি ভেঙে যায়। এতে মাঝবাড়ি ইউনিয়নের মোহনপুর ও রতনদিয়া ইউনিয়নের পালপাড়া, কলেজপাড়া, আড়পাড়া, চাঁদপুরসহ আশপাশের মানুষ দুর্ভোগে পড়ে। এদের প্রতিদিন দেড় থেকে দুই কিলোমিটার পথ ঘুর করতে হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, কালুখালী উপজেলা পরিষদ ও কালুখালী ডিগ্রি কলেজের মাঝামাঝি স্থানে চন্দনা নদীর ওপর বাঁশ দিয়ে তৈরি করা সেতুর এক পাশে মাঝবাড়ি ইউনিয়নের মোহনপাড়া, অন্য পাশে রতনদিয়া ইউপির পালপাড়া। সেতুটির প্রায় অর্ধেক অংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদীর পূর্ব পাড়ে গোসল করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ক্যামেরায় ছবি তুলতে দেখে অনেকে এগিয়ে এসে দুর্ভোগের কথা জানান।
স্থানীয় বাসিন্দা অরবিন্দ হালদার জানান, এই সেতু দিয়ে উভয় পাড়ের কয়েক শ মানুষ চলাচল করে। মাস খানেক হলো সেতুটি ভেঙে গেছে। ফলে অনেক পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। মোহনপুর অঞ্চলের বাসিন্দাদের রতনদিয়া বাজারে আসতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেতুটি মেরামত করা হলে মানুষের অনেক উপকার হতো।
মোহনপুর অঞ্চলের বাসিন্দা কলেজশিক্ষার্থী নূর মোহাম্মদ চঞ্চল জানান, বাঁশের সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়েছে স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের। তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসতে আগের থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় বেশি ব্যয় হচ্ছে। এ ছাড়া সবজিসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য বাজারে আনতে কৃষকদের ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে।
রতনদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাচিনা পারভীন নিলুফা জানান, বাঁশের সেতুটি ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি আমি জানি। কিছুদিন হলো আমি দায়িত্বভার গ্রহণ করেছি। মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে সেতুটি মেরামত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী সাইফুল ইসলাম জানান, গত বছর সেতুটি তৈরি করা হয়েছিল। এবার তীব্র স্রোতের কারণে সেতুটি ভেঙে গেছে। নদীতে অনেক পানি থাকার কারণে সেতু মেরামত করা যাচ্ছে না। পানি কমলে সেতুটি মেরামত করে দেওয়া হবে। তা ছাড়া ওই স্থানে একটি বড় সেতু নির্মাণের প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে।