সুন্দরগঞ্জে সাংসদের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় সাংসদ মনজুরুল ইসলামের উদ্যোগে নিজস্ব তহবিল, টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের টাকা দিয়ে লেংগা খালের ওপর সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে চলাচলের জন্য ওই সেতুর উদ্বোধন করেন সাংসদ।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাবিবুল আলম, সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসরাইল হোসেন, ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান ও সাবেক চেয়ারম্যান সুজা চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেতুর একপারে উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিমরাজিবপুর, নতুন বাজার ও ধোপাডাঙ্গা গ্রাম। অন্য পারে একই ইউনিয়নের পূর্বরাজিবপুর, ছাপরহাটি ইউনিয়নের মন্ডলেরহাট ও মাঠেরহাট গ্রাম। মাঝখানে উত্তর-দক্ষিণে প্রবাহিত লেংগা খাল। খালের ওপর বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছিল ওই ছয়টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। সেই সাঁকোর স্থলে সেতুটি নির্মিত হয়েছে। সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে সোনার বাংলা সাঁকো। রাতে পারাপারের জন্য সেতুর ওপরে লাগানো হয়েছে সৌরবিদ্যুৎ। সেতুটি নির্মিত হয় সাংসদের উদ্যোগে। এতে ব্যয় হয় প্রায় আট লাখ টাকা। এর দৈর্ঘ্য ৯৬ ফুট ও প্রস্ত ৬ ফুট। সেতু নির্মাণে সময় লাগে প্রায় দুই বছর।

পশ্চিমরাজিবপুর গ্রামের কৃষক শাহজাদা মিয়া বলেন, আগে গরু নিয়ে সাঁতরে পূর্বরাজিবপুর গ্রামে গিয়ে হালচাষ করতে হতো। এখন সেই কষ্ট দূর হলো। একই গ্রামের ব্যবসায়ী শামছুল আলম বলেন, স্কুলগামী শিশু ছেলেমেয়েরা ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পারাপার হতো। অভিভাবকদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পৌঁছে দিতে হতো। এখন পারাপার নিয়ে এলাকার মানুষের দুশ্চিন্তা কাটল।

জানতে চাইলে সাংসদ বলেন, ‘বিশেষ টিআর (টেস্ট রিলিফ) ও কাবিখা (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) প্রকল্পের কাজ শতভাগ হয় না। এই কাজ করতে গিয়ে আমাদের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়, অনেক প্রশ্ন ওঠে। তাই নিজস্ব তহবিল, টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের টাকা দিয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। কারণ, টিআর দিয়ে সড়কে মাটির কাজে সরকারের অপচয় হয়। কিন্তু এটি দৃশ্যমান ও স্থায়ী।’