স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা, সাইয়িদের জামিন

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা সদরে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী আবু সাইয়িদের বাড়িতে অবস্থিত আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গত বুধবার বিকেলে আবু সাইয়িদের ভাতিজা মো. রব সরকার পাবনার আমলি আদালত-৩-এ মামলাটি দায়ের করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরকে তদন্তের দায়িত্ব দেন।
এদিকে একই ঘটনায় গত শনিবার রাতে সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদের দায়ের করা মামলায় আদালত আবু সাইয়িদকে জামিন দিয়েছেন। গতকাল সকালে আবু সাইয়িদ জেলা আমলি আদালত-৩-এ হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্র জানায়, একই আদালতে আবু সাইয়িদের জামিন এবং শামসুল হকের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে। মামলার প্রধান সাক্ষী করা হয়েছে আবু সাইয়িদকে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, শামসুল হকের ভাই ও বেড়া পৌরসভার মেয়র আবদুল বাতেন, বড় ছেলে রঞ্জন, বেড়া উপজেলার বৃশালিখা গ্রামের শফিকুল ইসলাম ও আবদুল হালিম, নতুন পাড়া গ্রামের শফি ও রুবেল, শানিলা গ্রামের ময়ছার, করমজা গ্রামের বরকত ও বিলু, দৌলতপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম ও সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদ মাহমুদ।
মামলার আরজিতে বলা হয়, ২০০০ সালের ১৭ অক্টোবর আবু সাইয়িদ ওই বাড়িটি কেনেন। পরে তিনি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য সেখানে একটি ঘর তৈরি করেন। সেই ঘরে ফেনসিডিল ও গাঁজা সেবনসহ অসামাজিক কার্যক্রম চলছে—এমন খবরে ৭ ডিসেম্বর আবু সাইয়িদ পুলিশ ও স্থানীয়দের উপস্থিতিতে ঘরটি তালাবদ্ধ করে চলে আসেন। এর কিছুক্ষণ পর আসামিরা বেড়া ও সাঁথিয়া থানার বিপুলসংখ্যক পুলিশ নিয়ে সেখানে হাজির হন। তাঁরা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে ঘরের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে আসবাব ভাঙচুর ও লুটপাট করেন।
ওসি শাহিদ মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, মামলার অভিযোগ সঠিক নয়। কার্যালয়টি উপজেলা আওয়ামী লীগের। আবু সাইয়িদ তালা দেওয়ার পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে সবকিছু ভাঙচুর অবস্থায় পান।