উৎসবের আগেই উৎসবের আমেজ রংপুর জিলা স্কুলে

১৮৩২ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী রংপুর জিলা স্কুলের সম্মিলিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান আগামী ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর। এ উপলক্ষে রংপুর নগরে সাজ সাজ রব। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ মুখরিত প্রাক্তন ও নবীন শিক্ষার্থীদের পদচারণে। স্কুল ভবনকেও সাজানো হয়েছে নয়নাভিরাম আলোকসজ্জায়। ছবিটি গতকাল রোববার তুলেছেন মঈনুল ইসলাম
১৮৩২ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী রংপুর জিলা স্কুলের সম্মিলিত পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান আগামী ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর। এ উপলক্ষে রংপুর নগরে সাজ সাজ রব। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ মুখরিত প্রাক্তন ও নবীন শিক্ষার্থীদের পদচারণে। স্কুল ভবনকেও সাজানো হয়েছে নয়নাভিরাম আলোকসজ্জায়। ছবিটি গতকাল রোববার তুলেছেন মঈনুল ইসলাম

গৌরবদীপ্ত রংপুর জিলা স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার। তবে উৎসবের আগেই যেন উৎসব শুরু হয়ে গেছে স্কুল প্রাঙ্গণে। ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ঈদ করতে বাড়িতে আসা এই স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা একনজর ঘুরে যাচ্ছেন তাঁদের প্রিয় বিদ্যাপীঠে। অনেকেই সন্তানদের নিয়েও ঘুরছেন-ফিরছেন। করছেন আনন্দ-উচ্ছ্বাস।
জিলা স্কুলের এই উৎসবের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে রংপুর শহরজুড়ে।
‘যেথায় থাকি যে যেখানে, বাঁধন আছে প্রাণে প্রাণে’ স্লোগানে জিলা স্কুলের ১৮৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে সম্মিলিত পুনর্মিলন উদ্‌যাপন পরিষদের আয়োজনে এ পুনর্মিলনের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর আগামী বুধবার দুপুরে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন ।
এদিকে অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে জিলা স্কুলের মাঠজুড়ে টানানো হয়েছে শামিয়ানা। তৈরি হয়েছে মঞ্চ। আলোকসজ্জায় সেজেছে পুরো স্কুল। স্কুলের বাইরে তোরণ নির্মাণ হয়েছে। আজ সোমবার সকাল থেকে বিতরণ করা হয়েছে টি-শার্ট, ব্যাগ, টুপি, স্মরণিকা, খাবার কুপন।
প্রথম দিন বুধবার বেলা দুইটায় রংপুর জিলা স্কুল মাঠে অনুষ্ঠান উদ্বোধনের পর বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ হবে। এরপর শোকপ্রস্তাব ও নীরবতা পালন। এবার আজীবন সম্মাননা প্রদান, মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষাসৈনিকদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। রয়েছে প্রাক্তন শিক্ষক-কর্মচারীদের শুভেচ্ছা বক্তব্য, শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে অনুষ্ঠান। ব্যাচভিত্তিক পরিচিতি, স্মৃতিচারণা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে। ব্যান্ড দল অর্থহীন ও লালনের পরিবেশনা থাকছে উৎসবের দুদিনই। রংপুরের ঐতিহ্যবাহী ভাওয়াইয়া গানের আসর তো আছেই।