রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে কঙ্কাল ও খুলি উদ্ধার

রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার হওয়া কঙ্কাল ও মাথার খুলি। ছবি: অরূপ রায়, সাভার
রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার হওয়া কঙ্কাল ও মাথার খুলি। ছবি: অরূপ রায়, সাভার

রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারে রানা প্লাজা ভবন ধসের আট মাস পরে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে মানুষের কঙ্কাল ও মাথার খুলি পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ওই ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে একজন মানুষের কঙ্কাল ও একটি মাথার খুলি উদ্ধার করেছে পথশিশুরা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কঙ্কালের সঙ্গে আটকে থাকা প্যান্টের পকেট থেকে ওবায়দুল নামের একজনের একটি পরিচয়পত্র ও মুঠোফোন পাওয়া গেছে। তিনি ধসে পড়া রানা প্লাজার তিনতলার নিউওয়েব বটমসের সুইং সহকারী। পরিচয়পত্রে যোগদানের তারিখ লেখা আছে ২০১১ সালের ৭ সেপ্টেম্বর। পুলিশের ধারণা কঙ্কালটি ওবায়দুলেরই। তবে কঙ্কাল থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে উদ্ধার হওয়া খুলির সঙ্গে কোনো পরিচয়পত্র পাওয়া যায়নি।

সাভার মডেল থানার পুলিশ জানায়, বিকেলে সাগর (১০), জিহাদ (৯), আক্তার (১০) ও বাবুল (১২) নামের চার পথশিশু রানা প্লাজার পেছনে ধ্বংসস্তূপে উচ্ছিষ্ট খোঁজার সময় একটি মস্তকবিহীন কঙ্কাল ও মাথার খুলি কুড়িয়ে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কঙ্কাল ও খুলি সংগ্রহ করে থানায় নিয়ে যায়।

পথশিশু সাগর ও জিহাদ জানায়, প্রথমে তারা প্রায় পচে যাওয়া একটি প্যান্টের ভেতরে আটকে থাকা কঙ্কালটি পায়। সেখান থেকে ১০০ গজ দূরে কুড়িয়ে পায় মাথার খুলি।
সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহীন শেখ বলেন, পরিচয়পত্র অনুযায়ী কঙ্কালটি ধসে পড়া রানা প্লাজার তিনতলার নিউওয়েব বটমসের শ্রমিক ওবায়দুলের। তবে খুলিটি কার তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। উদ্ধার হওয়া কঙ্কাল ও মাথার খুলি ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।

বিশ্বের ভয়াবহতম এই ভবনধসের ঘটনায় দুজন উদ্ধারকর্মীসহ এক হাজার ১৩৪ জন নিহত হন। আহত হন প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিক। সরকারি হিসাবে নিখোঁজের সংখ্যা ৩৩২ জন। যদিও নিখোঁজের সংখ্যা আরও বেশি বলে দাবি করেন স্বজনেরা।