দিনভর বৈঠক, তবু মুখ খুললেন না রওশন

রওশন এরশাদ
রওশন এরশাদ

জাতীয় পার্টির সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী রওশন এরশাদ আজ দিনভর নিজ দলের ও আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে তাঁর গুলশানের বাসায় বৈঠক করেছেন। তবে তিনি ও তাঁর অনুগত জাপা নেতারা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে যাবেন, নাকি দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মতো নির্বাচন বর্জনের পথে হাঁটবেন সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেননি তিনি।
জাপার নির্বাচনী প্রতীক ‘লাঙ্গল’ অন্য কাউকে বরাদ্দ না দিতে সিইসিকে চিঠি দেওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ‘আটক’ হন এইচ এম এরশাদ। তিনি এখন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ‘চিকিত্সাধীন’। এরপর আজ দুপুর থেকেই দলের নেতারা রওশন এরশাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
প্রথমে আজ রওশন এরশাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি দুই দফায় রওশনের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন। রহুল আমিন হাওলাদারের সঙ্গে সাক্ষাত্ শেষে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদও রওশনের সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে ফিরোজ রশীদ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি রুহুল আমিন হাওলাদারদের মতের পক্ষে। অর্থাত্ এরশাদের আনুগত্য মেনে তিনিও ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে যেতে চান না।
এরপর আনিসুল ইসলাম মাহমুদ পৌনে চারটার দিকে সেখানে যান। রওশন এরশাদের সঙ্গে সাক্ষাত্ শেষে তিনি রাত ১০টার দিকে বের হয়ে যান। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। রওশন এরশাদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে সেখানে যান প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা জাপা নেতা জিয়াউদ্দিন বাবলু।এছাড়াও নির্বাচনকালীন সরকারের শিল্পমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে রওশন এরশাদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে যান। সাক্ষাতের পর তাঁরা এটিকে ‘সৌজন্য সাক্ষাত্’ বলে দাবি করেছেন। 

তোফায়েল আহমেদ, গওহর রিজভী চলে যাওয়ার পরও আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মুজিবুল হক চুন্নু ও কাজী ফিরোজ রশীদ রওশন এরশাদের বাসায় ছিলেন। রাতে তাঁরা চলে যান।
এদিকে দুপুরের পর থেকে রওশন এরশাদের গুলশানের কয়েকবার র্যাব-গোয়েন্দা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বার বার ঘুরে গেছেন। রাতে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চলে যাওয়ার পর সাংবাদিকরা রওশন এরশাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি কারও সঙ্গে কথা বলেননি।