চেতনা '৭১ ভাস্কর্যে শিবিরের হামলা

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য চেতনা ’৭১-এ হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে ইসলামী ছাত্রশিবির। গতকাল তোলা ছবি । প্রথম আলো
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য চেতনা ’৭১-এ হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে ইসলামী ছাত্রশিবির। গতকাল তোলা ছবি । প্রথম আলো

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) গত বৃহস্পতিবার রাতে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য চেতনা ’৭১-এ হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। এ সময় তারা কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও সমাবেশেও হামলা চালিয়েছে শিবির।
ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে ছাত্রশিবির একটি মিছিল বের করে। এ সময় গোলচত্বরের পাশে অন্তত তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে শিবিরের কর্মীরা মিছিল নিয়ে চেতনা ’৭১-এ হামলা চালিয়ে ভাস্কর্যটির নামফলক ভাঙচুর করেন। পরে সেখানে আরও দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘শিবিরের মিছিল থেকে হামলা চালিয়ে চেতনা ’৭১ ভাস্কর্যের নামফলক ভাঙচুর করা হয়েছে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নেবে।’
ভাস্কর্য চেতনা ’৭১-এ হামলা-ভাঙচুরের প্রতিবাদে গতকাল ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও সমাবেশেও হামলা চালিয়েছে শিবির। বিকেল পাঁচটার দিকে ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। মানববন্ধন শেষে চেতনা ’৭১-এর পাদদেশে সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিবিরের ২০-২৫ জন ক্যাডার রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে। এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দৌড়ে বিভিন্ন ভবনে আশ্রয় নেন। পরে চেতনা ’৭১-এর সামনে থাকা সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারুক উদ্দিনের মোটরসাইকেল ও দুটি বাইসাইকেলে আগুন দিয়ে শিবিরের ক্যাডাররা ক্যাম্পাস ত্যাগ করে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক বিশ্বজিৎ পাল আহত হন।
এ ঘটনার পর ক্যাম্পাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হোসাইন আহমেদের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।