ভুয়া ডিবি পুলিশ ধরা পড়ল আসল ডিবি পুলিশের হাতে

গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে অপহরণ ও চাঁদা আদায়কারী চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মগবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এই অভিযান চালায়।
ডিবির ভাষ্যমতে, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন শফিকুল ইসলাম (৩৮), ইমরান (৩০), আপেল (২৯) ও ইব্রাহীম (২৮)। তাঁদের মধ্যে শফিকুল সেনাবাহিনীর বরখাস্ত হওয়া করপোরাল বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁর নেতৃত্বেই চক্রটি অপহরণ ও চাঁদা আদায় করত।
গতকাল রোববার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন এসব তথ্য জানান। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ওয়াকিটকি, ডিবি লেখা জ্যাকেট, পিস্তলের খাপসহ একটি খেলনা পিস্তল, জোড়া হ্যান্ডকাফ, কাঠের তৈরি কালো রঙের একটি লাঠি জব্দ করা হয়।
জব্দ করা এসব সরঞ্জাম ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের দেখানো হয়। হাতকড়ায় পুলিশের মনোগ্রাম খোদাই করা ছিল। ক্রমিক নম্বর লেখা ছিল ‘বিপি-২০১৪’। এ ধরনের হাতকড়া সাধারণত পুলিশ ব্যবহার করে থাকে।
সংবাদ সম্মেলনে আবদুল বাতেন বলেন, ভুয়া ডিবির এই চক্রের কর্মকাণ্ড মূলত ব্যাংককেন্দ্রিক। ব্যাংক থেকে যাঁরা টাকা তোলেন, তাঁদের টার্গেট করে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে গাড়িতে তোলা হয়। গাড়ির ভেতরে সবকিছু কেড়ে নিয়ে ফাঁকা কোনো জায়গায় নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। আবার কোনো ব্যক্তিকে অপহরণ করার পর মামলার ভয় দেখিয়ে পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা নিয়ে মুক্তি দেয়।
পুলিশের হাতকড়া অপরাধীদের কাছে পাওয়ার বিষয়ে আবদুল বাতেন বলেন, পলওয়েল মার্কেটে খোলা বাজারে এসব হাতকড়া বিক্রি হয়। তবে তা কিনতে হলে পুলিশ সদস্যদের পরিচয়পত্র এবং বিপি নম্বর লিখে নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে কিনতে হয়। বিষয়গুলো তদারক করার জন্য পুলিশের আলাদা একটি দলও রয়েছে। তারপরও এই হাতকড়া অপরাধীদের কাছে কীভাবে গেল, তা খতিয়ে দেখা হবে।
আবদুল বাতেন জানান, চক্রটি বগুড়া, রংপুর ও সিরাজগঞ্জে তৎপরতা চালিয়ে আসছিল। সম্প্রতি তারা ঢাকায় সক্রিয় হয়।