সুন্দরবনে অতিরিক্ত পণ্যবাহী সাতটি নৌযানকে জরিমানা

সুন্দরবনের পশুর নদে অতিরিক্ত পণ্যবোঝাই সাতটি নৌযানকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত শনিবার বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের পাশে বাণিশান্তা এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।

বাগেরহাটের নির্বাহী হাকিম এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ ও মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী ওই অভিযানে নেতৃত্ব দেন। মোংলায় কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের একটি ইউনিট এতে সহযোগিতা করে।

জরিমানার শিকার নৌযানগুলো হলো এম ভি সোনাকিয়া, এম ভি পানপানজাব-৪, এম ভি সাহিদা, এম ভি ষাটগম্বুজ, এম ভি এম, হিজবুল ওহাব ও এম ভি ইব্রাহিম খলিল। লাইটারেজ কার্গো ভেসেল শ্রেণিভুক্ত এসব নৌযান মোংলা বন্দরে আসা বিভিন্ন পণ্যবাহী দেশি-বিদেশি জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পরিবহন করে থাকে। কার্গোগুলো বন্দরে আসা বিভিন্ন জাহাজ থেকে পণ্য বোঝাই করে বিভিন্ন গন্তব্যে রওনা হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, সুন্দরবনে সাম্প্রতিক সময়ের নৌ দুর্ঘটনাগুলোর কারণ অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, এসব দুর্ঘটনার অন্যতম প্রধান কারণ মাত্রাতিরিক্ত পণ্য বোঝাই করে চলাচল। এ প্রবণতা রোধে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নৌযানের ফিটনেস ও ধারণ ক্ষমতার অধিক পণ্য বোঝাইয়ের বিরুদ্ধে শনিবার দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। তিনি আরও বলেন, ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ এমনকি তিন গুণ বেশি মালামাল বোঝাই করার অপরাধে অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল অধ্যাদেশ ১৯৭৬ অনুযায়ী সাতটি নৌযানকে সর্বমোট ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি যেসব নৌযানের সার্ভে সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য কাগজপত্রে সমস্যা আছে, তাদের সতর্ক করে আগামী এক মাসের মধ্যে কাগজপত্র নবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।