'আগ্নেয়াস্ত্র-সদৃশ বস্তু'সহ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত দুই জার্মান আটক

ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নয়টি ‘আগ্নেয়াস্ত্র–সদৃশ বস্তু’সহ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জার্মানির দুই নাগরিককে আটক করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেল থেকে তাঁদের আটক করে শুল্ক কর্তৃপক্ষ।

শুল্ক কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে ‘নয়টি আগ্নেয়াস্ত্র’ উদ্ধারের দাবি করে। পরে বিকেলের দিকে জানায়, এগুলো ‘আগ্নেয়াস্ত্র–সদৃশ বস্তু’। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শুল্ক কর্মকর্তা বলেন, এগুলো জব্দ করার পর যাচাই করার জন্য র‍্যাবকে বলা হয়েছিল। এগুলোর ব্যালিস্টিক পরীক্ষা করা হবে।

আটক দুই ব্যক্তি হলেন আমিনুল ইসলাম ও মনির বেন আলী।

ঢাকা কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার এইচ এম আহসানুল কবীর দুপুরের দিকে প্রথম আলোকে বলেন, সকাল পৌনে নয়টার দিকে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে দুবাই থেকে আমিনুল ও মনির ঢাকায় আসেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গ্রিন চ্যানেলে মালামালসহ তাঁদের তল্লাশি করা হয়। তাঁদের কাছে থাকা একটি কার্টনের ভেতর নয়টি ছোট আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যায়। এগুলোর ওপর ‘স্মল ফায়ার আর্মস’ লেখা রয়েছে।

আহসানুল কবীর জানিয়েছিলেন, বিকেল চারটার দিকে বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মেলন করে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে। তবে বিকেলে কোনো সংবাদ সম্মেলন করা হয়নি। শুল্ক কর্তৃপক্ষের কোনো কর্মকর্তার নাম-স্বাক্ষর ছাড়া সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহ করা হয় একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি। পরে বিকেল পাঁচটার দিকে ঢাকা কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার এস এম সোহেল রহমান স্বাক্ষরিত আরেকটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সাংবাদিকদের দেওয়া হয়। দুটি বিজ্ঞপ্তিতেই বলা হয়, স্ক্যানিংয়ের সময় আগ্নেয়াস্ত্র–সদৃশ বস্তু ও মদের বোতল পাওয়া গেছে ওই দুই ব্যক্তির কাছে। তাদের লাগেজ খুলে দেখা যায়, তাদের কাছে জার্মানির ওয়ালথার ব্র্যান্ডের চারটি ও তুরস্কের কোরাকি ব্র্যান্ডের পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র সদৃশ বস্তু এবং ১২টি মদের বোতল আছে। এগুলো বহনের সাপেক্ষে তাঁরা কোনো বৈধ দলিল দেখাতে পারেনি, তাই জব্দ করা হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘আটক আগ্নেয়াস্ত্র–সদৃশ বস্তু অধিকতর নিশ্চিতকল্পে বিশেষজ্ঞের মতামত নেওয়া হবে।’

আটক মনির বেন আলী বিমানবন্দরে দাবি করেন, এগুলো সিনেমার শুটিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তাঁর কাছে আছে। বায়তুল মোকাররম মার্কেটের একটি অস্ত্র ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান তাঁদের এগুলো আনতে বলেছিল। একেকটির দাম ১২০ ইউরো করে। তিনি এগুলো পরীক্ষা করে দেখতে এবং বিষয়টি জার্মান দূতাবাসকে জানাতে বলেন।