১২৭ প্রিসাইডিং কর্মকর্তার ৭৪ জনই ব্যাংকার

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ১২৭ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তার ৭৪ জনই ব্যাংক কর্মকর্তা। এ ছাড়া ৩৯ জন কলেজশিক্ষকসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের আরও ১৪ জন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। আজ শনিবার নগরের ২৭টি ওয়ার্ডের ১২৭টি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচনে তিনজন মেয়র প্রার্থীর পাশাপাশি ১৩৪ জন সাধারণ ও ৩৫ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৯১ হাজার ৪৬ জন।

ব্যাংকারদের আধিক্য প্রসঙ্গে সিলেটের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অনান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে সাধারণত জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের স্বল্পতা রয়েছে। ফলে ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা পদে মনোনয়ন প্রদানে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সিলেটের আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের মধ্যে ৭৪ জন ব্যাংক কর্মকর্তা রয়েছেন। এর মধ্যে আবার অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা সবচেয়ে বেশি। এই প্রতিষ্ঠানের ১১ জন কর্মকর্তা নির্বাচনে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন। এর পরই জনতা ব্যাংকের নয়জন, সোনালী ব্যাংকের সাতজন ও ন্যাশনাল ব্যাংকের পাঁচজন কর্মকর্তা রয়েছেন।

সূত্র জানায়, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে ইস্টার্ন ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের তিনজন; এবি ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও সিটি ব্যাংকের দুজন এবং এইচএসবিসি ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও ওয়ান ব্যাংকের একজন করে কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন।

নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতকৃত প্রিসাইডিং কর্মকর্তার তালিকা ঘেঁটে দেখা গেছে, ৩৯ জন শিক্ষক নির্বাচনে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন। এর মধ্যে সিলেটের এমসি কলেজের ১২ জন, সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের পাঁচজন, দক্ষিণ সুরমা কলেজের চারজন, মদনমোহন কলেজের চারজন, সিলেট সরকারি কলেজের তিনজন, সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার তিনজন ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের দুজন রয়েছেন। সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়, সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, আঞ্চলিক মানবসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি কার্যালয়, সমাজসেবা কার্যালয়, জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের একজন করে মোট নয়জন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (পিটিআই) তিনজন ও জেলা শিক্ষা কার্যালয়ের দুজন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করবেন।