সড়ক ধসে যোগাযোগ বন্ধ

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীর নহনা নদীর ওপর নির্মাণাধীন জাউনিয়া সেতুর পাশের বিকল্প সড়ক ভেঙে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। গতকাল দুপুরে তোলা ছবি l প্রথম আলো
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীর নহনা নদীর ওপর নির্মাণাধীন জাউনিয়া সেতুর পাশের বিকল্প সড়ক ভেঙে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। গতকাল দুপুরে তোলা ছবি l প্রথম আলো

কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার নহনা নদীর ওপর নির্মাণাধীন জাউনিয়া সেতুর পাশের বিকল্প সড়ক (ডাইভারশন রোড) ধসে গেছে। এতে গত রোববার থেকে উপজেলা সদর থেকে লাহিড়ীহাটের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
এলজিইডির বালিয়াডাঙ্গী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লাহিড়ীহাট সড়কের জাউনিয়া এলাকায় নহনা নদীর ওপর একটি ঝুঁকিপূর্ণ লোহার সেতু ছিল। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে সেতুর মাঝখানে কয়েক দফা গর্ত হয়। তখন লোহার পাটাতন বসিয়ে যানবাহন সচল রাখে এলজিইডি। সেতুটি বালিয়াডাঙ্গী সদর থেকে পাড়িয়া, চাড়োল ও ধনতলা ইউনিয়নের বাসিন্দাদের চলাচলের মূল সড়ক। এ বিবেচনায় গত বছর লোহার সেতুর বদলে আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করে এলজিইডি। কাজটি পান রংপুরের ঠিকাদার খায়রুল কবীর। তাঁর পক্ষে কাজটি করছেন ঠাকুরগাঁও পৌরসভার সাবেক মেয়র এস এম এ মঈন। গত ২১ মার্চ ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। আগামী বছরের ২০ মার্চ কাজটি শেষ হওয়ার কথা। গত ২৯ মার্চ স্থানীয় সাংসদ দবিরুল ইসলাম সেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন।
কাজ উদ্বোধনের পর শুরু হয় পুরোনো সেতু ভেঙে নেওয়ার কাজ। ঠিকাদার তখন ওই সড়কে যান চলাচলের জন্য পশ্চিম পাশে একটি বিকল্প সড়ক নির্মাণ করেন। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতে নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় গত রোববার বিকল্প সড়কটি ভেঙে যায়।
এ বিষয়ে জাউনিয়া গ্রামের দানেশ বসাক বলেন, সেতু ভেঙে ফেলার সময় ঠিকাদার চলাচলের বিকল্প সড়ক তৈরি করে দিলেও নদীর পানি যাওয়ার মতো ব্যবস্থা ঠিকমতো করেননি। ফলে এ বছর বর্ষা শুরুর পরপরই সড়কটি ভেঙে যায়। সে সময় তিন দিন ওই পথে যান চলাচল বন্ধ থাকে। গত রোববার আবারও পানির স্রোতে সড়কটি ভেঙে যায়। এতে উপজেলার সঙ্গে তিন ইউনিয়নের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বিকল্প সড়ক ভেঙে যাওয়ার সুযোগে এলাকার কয়েকজন লোক টিনের ড্রাম দিয়ে ভেলা তৈরি করে টাকার বিনিময়ে মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল ও পথচারী পারাপার করছেন। লাহিড়ী উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোকছেদুল হক বলে, বিকল্প সড়কটি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ে যেতে তাকে নদী পারাপারে দৈনিক ২০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে। মোটরসাইকেল পার করতে প্রতিবার নেওয়া হচ্ছে ৪০ টাকা।
মঈন বলেন, নদীর পানি কমলেই দ্রুত বিকল্প সড়কের কাজটি করা হবে। উপজেলা প্রকৌশলী মাইনুল ইসলাম বলেন, নদীর পানি কমলেই বিকল্প সড়কটি সংস্কার করা হবে। তখন কোনো সমস্যা থাকবে না।