কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় এক কিশোরীকে দুদিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ধর্ষণের শিকার কিশোরীর এক আত্মীয় গত শুক্রবার রাতে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী অন্যের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করে। গত মঙ্গলবার সে কঙ্গনা গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসে। সন্ধ্যায় সেখান থেকে এক ব্যক্তি তাকে নতুন কাপড় কিনে দেওয়ার কথা বলে স্থানীয় বাদাঘাট বাজারে নিয়ে যান। পরে বাজার থেকে গ্রামের আরেক ব্যক্তির বাড়িতে নিয়ে তিনি তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এভাবে দুদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। গত বৃহস্পতিবার সকালে কৌশলে কিশোরীটি ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে সব খুলে বলে। এরপর ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরাসহ অন্য লোকজন সেখানে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে হুমকি দেন।

একপর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে গত শুক্রবার রাতে পুলিশ গিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত এক ব্যক্তিকে বাদাঘাট থেকে গ্রেপ্তার করে ও ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে তার আত্মীয়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।