ঠাকুরগাঁওয়ে মন্দির চত্বরে ঝুলন্ত লাশ

ঠাকুরগাঁও শহরের শ্মশানঘাট কালীমন্দির চত্বর থেকে আজ সোমবার সকালে গোকুল চন্দ্র দাস (৫০) নামের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শ্মশানঘাট কালীমন্দির কমিটির সভাপতি শ্যামল কুমার ঘোষের ভাষ্য, গোকুল মন্দিরের নৈশপ্রহরী মুকুল চন্দ্র দাসের ছোট ভাই। তিনি নর্থ সার্কুলার সড়কে কৃষি ব্যাংকের সামনে সাইকেল মেরামতের কাজ করতেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা বলছেন, সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে মন্দিরের পূজারি মলিন চন্দ্র রায় গোকুলের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পরে তিনি প্রতিবেশীদের ডেকে আনেন। স্থানীয় লোকজন লাশটি মন্দিরের কাছে শহরের কলেজপাড়ার বাসিন্দা গোকুল দাসের বলে শনাক্ত করেন। সকাল ১০টার দিকে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেয়।

মুকুল চন্দ্র দাসের ভাষ্য, তিনি আজ ভোর ছয়টার দিকে মন্দির থেকে বের হন। তখন লিচুগাছে ঝুলন্ত গোকুলের লাশটি নজরে আসেনি। তিনি বলেন, গোকুলের পরিবারে ঝগড়াবিবাদ লেগেই ছিল। গতকাল রোববার রাতেও ঝগড়া হয়। এর জের ধরে বাইরের কোনো জায়গায় গোকুলকে হত্যা করে মন্দিরের লিচুগাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হতে পারে।

ঠাকুরগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কমল কিশোর ঘোষের ভাষ্য, গোকুলের দুহাতে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাতের ক্ষতে তুলা লাগানো ছিল। এমন হতে পারে তিনি আগেই চিকিৎসা নিয়েছিলেন। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।

এসআই জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোকুলের স্ত্রী গীতা রানী (৪৫) ও মেয়ে বিপাশাকে (১৮) আটক করা হয়েছে।