লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের ভাঁটের মসজিদ এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিরাজুল ইসলামকে (২৭) আজ রোববার বিকেলে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় মাসুদ হোসেন নামে মিরাজুলের এক বন্ধুকে কুপিয়ে জখম করা হয়।


নিহতের পরিবার ও রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের দাবি, জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডাররা কয়েক মাস ধরে মিরাজুলকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। এর জের ধরে পরিকল্পিতভাবে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তবে জামায়াত এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

মিরাজুল রায়পুর পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক। তাঁর বাড়ি দেনায়েতপুর এলাকার সর্দার বাড়িতে। তাঁর বাবার নাম আবুল কালাম।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, দুপুরে মিরাজুল ছাত্রলীগের কর্মী মাসুদকে নিয়ে কেরোয়া ইউনিয়নে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। সেখান থেকে তাঁরা মোটরসাইকেলে করে বিকেলে রায়পুরে ফিরছিলেন। এ সময় ভাঁটের মসজিদ এলাকায় ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁদের কুপিয়ে জখম করে। ঘটনাস্থলেই মিরাজুল মারা যান। পরে রায়পুর থেকে পুলিশ গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাঁদের উদ্ধার করে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় ।

রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোস্তফা খালেদ জানান, মিরাজুলকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাঁর মাথা, কপালসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের ৭-৮টি কোপের জখমের চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়া সঙ্গে থাকা মাসুদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকেও এলোপাতাড়ি কোপানো হয়েছে। তাঁকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খোকন বলেন, জামায়াত-শিবিরের অস্ত্রধারী লোকজন প্রকাশ্যে অমানবিকভাবে কুপিয়ে মিরাজকে হত্যা করেছে। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। আহত মাসুদ হোসেন ছাত্রলীগের কর্মী বলে তিনি জানান। রায়পুর পৌরসভা জামায়াতের আমির মাস্টার ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জামায়াত-শিবির বিন্দুমাত্রও জড়িত নয়। আমরাও এ হত্যার নিন্দা জানাই।’

নিহত মিরাজুলের বাবা আবুল কালাম বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে বিএনপি-শিবির আমার ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। ছাত্রলীগের সক্রিয় রাজনীতি করার কারণে সন্ত্রাসীরা তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। এজন্য তাকে শেষ করে দেয়া হয়েছে।’
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপক কুমার সাহা বলেন, এখনো পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।