মিরপুর কলেজ
ছবি: কলেজের ওয়েবসাইট

অর্থ আত্মসাৎ, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এমপিওভুক্তি (মাসে বেতন-ভাতা বাবদ সরকারি অনুদান) স্থগিতের পর এবার সাময়িক বরখাস্ত হলেন রাজধানীর মিরপুর কলেজের অধ্যক্ষ মো. গোলাম ওয়াদুদ।

কলেজের পরিচালনা কমিটি গত শনিবার সভা করে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে। একই সঙ্গে কলেজের উপাধ্যক্ষ এইচ এম মাহবুবুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রথম আলোকে জানান, কলেজের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য শরীফ এনামুল কবির।

এর আগে ১৭ আগস্ট মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক আদেশে ওই অধ্যক্ষের এমপিওভুক্তি স্থগিত করা হয়। এর আগে ৮ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয় ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নিয়ে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অনুরোধ করা হয়।

তার আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ) ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ তদন্ত করে গত ৩০ জুন প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য তুলে ধরা হয়।

আরও পড়ুন

কলেজ যেন অধ্যক্ষের টাকা বানানোর ‘যন্ত্র’

অবশ্য গোলাম ওয়াদুদ প্রথম আলোর কাছে দাবি করেছিলেন, কলেজের কিছু লোক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁর পেছনে লেগেছে। তাঁরাই কলেজের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এসব করাচ্ছেন।

ডিআইএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, অধ্যক্ষ হিসেবে বিধিবহির্ভূতভাবে নিয়োগ পেয়েছিলেন গোলাম ওয়াদুদ। তিনি ঢাকায় কিনেছেন তিনটি ফ্ল্যাট। গ্রামের বাড়িতে হচ্ছে তিনতলা বাড়ি। এসব কাজের জন্যও নিয়েছেন কলেজের টাকা। শ্বশুরের চিকিৎসার খরচের জন্য বেনামে পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছেন কলেজ তহবিল থেকে। টাকা বিনিয়োগ করেছেন সঞ্চয়পত্র ও শেয়ারবাজারে। নিয়ম ভেঙে কলেজ উন্নয়ন খাতে উপকমিটিকে সম্মানী বাবদ ১২ লাখের বেশি টাকা দিয়েছেন। তা ছাড়া নির্মাণকাজসহ বিভিন্ন খাত থেকেও কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ রকম বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য রয়েছে ডিআইএর প্রতিবেদনে।