আবাসিক ভবন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করতে দেওয়ার প্রতিবাদ
রাজউক উত্তরা আবাসিক প্রকল্প, ১৮ নম্বর সেক্টরে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে সাময়িকভাবে ভবন বরাদ্দ ও ব্যবহারের অনুমোদনসহ সব তৎপরতা অবিলম্বে বন্ধের দাবি করেছে সেখানকার বাসিন্দারা। কর্তৃপক্ষের এমন উদ্যোগের বিরোধিতা করে শুক্রবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছেন ওই সব ভবনের অ্যাপার্টমেন্ট মালিক ও বসবাসকারীরা।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই ১৮ নম্বর সেক্টরের ব্লক-এ এলাকায় মোট ৭৯টি ভবন ও ৬ হাজার ৬৩৬টি ফ্ল্যাট রয়েছে। প্রকল্পটি দেশের সবচেয়ে বড় আবাসন প্রকল্প। এ প্রকল্পটি যে শতভাগ আবাসিক প্রকল্প, সে বিষয়টি রাজউকের সব নথি ও বরাদ্দপ্রাপ্তদের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিপত্রে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। ইতিমধ্যে বিনিয়োগকারী ফ্ল্যাটমালিকেরা এখানে বসবাস শুরু করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছর কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবের সময় এই এলাকায় ফ্ল্যাট মালিকদের বাধার পরও কোভিড রোগীদের জন্য কোয়ারেন্টিন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়। যা প্রকল্পের নিয়মের বাইরে। এরপর এখানে একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্মীদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়। কোয়ারেন্টিন স্টেশনে থাকা ও হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীদের আবাসনস্থলে পরিণত করায় এখানে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়েছে। এখানকার বসবাসকারীদের অনেকে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে এই এলাকায় আবারও একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে কার্যক্রম পরিচালনার খবর এখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে কয়েকটি দাবি করা হয়েছে
এক. একটি শতভাগ আবাসিক এলাকা হিসেবে বাস্তবায়নাধীন রাজউক উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পের লক্ষ্য উদ্দেশ্য ও নিয়মনীতি পরিপন্থী বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে ভবন বরাদ্দ ও ব্যবহারের অনুমতিসহ সব তৎপরতা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
দুই. অবিলম্বে প্রকৃত আবেদনকারীদের ফ্ল্যাট বরাদ্দ প্রদান করে রাজউকের প্রসপেক্টাস অনুযায়ী আবাসিক এলাকা হিসাবে বাস্তবায়ন করা।
তিন. স্থাপিত কোয়ারেন্টিন স্টেশন ও বেসরকারি হাসপাতালের কর্মচারীদের আবাসন অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
চার. প্রকল্প এলাকায় বসবাসকারীদের স্বস্তিকর বসবাস নিশ্চিত করার জন্য রাজউক কর্তৃক প্রতিশ্রুত সব সুযোগ-সুবিধা অবিলম্বে নিশ্চিত করতে হবে।