ঈদের দিন রাজধানীতে বাসে বাসে বকশিশ

রাজধানীতে ঈদের দিনও বাস চলাচল করছে। ঈদের নামাজের পর কিছু বাস চলতে দেখা যায়। বাসগুলোয় ঈদ উপলক্ষে বকশিশ হিসেবে ৫ থেকে ১০ টাকা করে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। কিছু বাসে ভাড়ার দ্বিগুণ বকশিশ নেওয়ায় যাত্রীরা অসন্তোষ জানিয়েছেন।

রাজধানীর ফার্মগেট, গাবতলী ও মিরপুরের বিভিন্ন রুট ঘুরে আজ মঙ্গলবার দেখা যায়, রাস্তায় বাস ও মানুষের আনাগোনা কম। তবে যাত্রীদের বাসের জন্য ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে না। আবার বাসগুলোকেও একদম ফাঁকা যেতে হচ্ছে না।

দুটি বাসে অবস্থান করে দেখা যায়, পাঁচ টাকা করে বকশিশ নেওয়া হলেও চালকের সহকারীর সঙ্গে যাত্রীদের বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়াতে দেখা যায়নি।

রাজধানীর ফার্মগেট থেকে গাবতলী পর্যন্ত ১৫ টাকা ভাড়া। ঈদের দিন হওয়ায় পাঁচ টাকা বেশি নেন লাব্বাইক পরিবহনের একটি বাসের চালকের সহকারী আবু তাহের। তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন সবার কাছ থেকেই পাঁচ টাকা করে বেশি নিচ্ছি। পরিবারের সঙ্গে ঈদ না করে কাজ করছি; একটু বেশি তো নেওয়াই লাগে।’

মো. মাজহারুল ও মাসুদ রানা সাভারের হেমায়েতপুর থেকে রাজধানীর টেকনিক্যাল মোড় পর্যন্ত মৌমিতা পরিবহনের একটি বাসে করে আসেন। তাঁরা জানান, জনপ্রতি তাঁদের কাছ থেকে ৫ টাকা করে বেশি নেওয়া হয়েছে। ঈদের দিন পাঁচ টাকা করে বেশি নেওয়ায় তাঁদের অসন্তোষ নেই।

চিড়িয়াখানা রুটে চলাচল করে না এমন বাসকেও ঈদের দিন এই রুটে চলতে দেখা যাচ্ছে। চিড়িয়াখানাগামী বাসে বকশিশ বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ।

মো. জিসান নামে এক যাত্রী বলেন, কল্যাণপুর থেকে মিরপুর ১ নম্বর পর্যন্ত ভাড়া নিয়েছে ২০ টাকা। আবার মিরপুর ১ নম্বর থেকে চিড়িয়াখানা পর্যন্ত ভাড়া নিয়েছে ২০ টাকা। মোট ৪০ টাকা ভাড়া লাগল। অথচ সরকারের বেঁধে দেওয়া ভাড়ায় ১০ টাকা নেওয়ার কথা। অসন্তোষ প্রকাশ করে এই কিশোর বলে, ‘আমাদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।’

জিসান মিরপুর ১ নম্বর থেকে চিড়িয়াখানা পর্যন্ত আসে রাজধানী পরিবহনের একটি বাসে। সেই বাসের চালকের সহকারী নাম প্রকাশ না করে বলেন, চিড়িয়াখানায় গিয়ে বাস ঘোরানোর জন্য আজকে ৫০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হচ্ছে। সে জন্য একটু বাড়তি ভাড়া নিতে হচ্ছে।