বাংলাদেশে প্রতি পাঁচজনে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ (২১%) উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত, যার অন্যতম কারণ অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণ। উচ্চ রক্তচাপের কারণে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। দেশে বছরে ২ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ হৃদ্রোগে মৃত্যুবরণ করেন।
গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহায়তায় প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) আয়োজিত ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা। আজ মঙ্গলবার এ ওয়েবিনার হয়। ৭ জুন ২০২২ বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে এর আয়োজন করা হয়। প্রজ্ঞার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
‘নিরাপদ খাদ্য, উত্তম স্বাস্থ্য’ প্রতিপাদ্য নিয়ে পালিত হচ্ছে এবারের বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস। বাংলাদেশের জন্য দিবসটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণের ফলে জনগণের মধ্যে অসংক্রামক রোগের প্রকোপ এবং মৃত্যু ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। আজকের ওয়েবিনারে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্রোগ ঝুঁকি মোকাবিলায় নিরাপদ খাদ্যের গুরুত্ব তুলে ধরেন বক্তারা।
ওয়েবিনারে জানানো হয়, উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত অর্ধেক নারী (৫১%) এবং দুই-তৃতীয়াংশ পুরুষ (৬৭%) জানেন না যে তাঁদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। গ্লোবাল বারডেন অব ডিজিজ স্টাডির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের প্রধান তিনটি কারণের একটি উচ্চ রক্তচাপ। ওয়েবিনারে বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাংলাদেশ ২০২৫ সালের মধ্যে অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে (এনসিডি) লক্ষ্যমাত্রা এবং ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অঙ্গীকারবদ্ধ। উচ্চ রক্তচাপের প্রকোপ এই লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জনে বড় বাধা হিসেবে কাজ করছে।
ওয়েবিনারে আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (খাদ্যশিল্প ও উৎপাদন) অধ্যাপক মো. আবদুল আলীম, জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মো. রূহুল কুদ্দুস, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রোমেন রায়হান, ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্টস স্কুল অব পাবলিক হেলথের সেন্টার ফর নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের পরিচালক ডা. মলয় কান্তি মৃধা, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের অধ্যাপক আবদুল্লাহ ইকবাল, সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন প্রজ্ঞার কো-অর্ডিনেটর মাহমুদ আল ইসলাম।