চিকিৎসক মামুনকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সমাবেশ

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
ফাইল ছবি

রাজধানীর মাইন্ড এইড হাসপাতালে নিহত সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম হত্যা মামলায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সমাবেশ করেছেন চিকিৎসকেরা। শনিবার তাঁরা জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে এ সংহতি সমাবেশ করেন।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টস এই সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ থেকে অবিলম্বে ‘চিকিৎসক সুরক্ষা আইন’ বাস্তবায়নের দাবি জানান চিকিৎসকেরা। কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক এম ইকবাল আর্সলান। তিনি বলেন, পরবর্তী সময়ে অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টস যদি কর্মসূচি দেয়, তাহলে বিএমএ ও স্বাচিপ সংহতি প্রকাশ করবে।

স্বাচিপের মহাসচিব অধ্যাপক এম এ আজিজ বলেন, এএসপি আনিসুল করিম হত্যা মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

সমাবেশে অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তারিকুল আলম বলেন, আগামী মঙ্গলবার সারা দেশে বেসরকারি পর্যায়ের সব প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ রাখার কর্মসূচি দেওয়া হবে।

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন চিকিৎসকদের সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি অ্যান্ড রাইটসের উপদেষ্টা আব্দুন নূর তুষার।

এদিকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান। তিনি বলেন, চিকিৎসক আবদুল্লাহ আল মামুন ন্যায়বিচার পাবেন। ঘটনায় তাঁর সংশ্লিষ্টতা না থাকলে তিনি অবশ্যই মুক্তি পাবেন। তবে চিকিৎসকদের আন্দোলন চলাকালে চিকিৎসাসেবা না পেয়ে কোনো রোগীর মৃত্যু হলে সেই দায় কে নেবে?

সম্প্রতি মানসিক সমস্যায় ভুগে রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুল করিম। ভর্তির পর কয়েক মিনিটের মধ্যেই মারা যান তিনি। পরিবারের অভিযোগ, ভর্তির পরপর হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। সিসিটিভি ফুটেজেও মারধরের বিষয়টি দেখা যায়।

এই মামলায় মোট ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনও রয়েছেন।