ছাড়া পেলেন সোহরাওয়ার্দীতে ‘খাবার বিক্রির’অভিযোগে আটক নারী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রসংলগ্ন (টিএসসি) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকে খাবার বিক্রির অভিযোগে আটক রানু বেগম ছাড়া পেয়েছেন। আজ সোমবার বিকেলে আদালতে ৬০০ টাকার মুচলেকায় তিনি ছাড়া পান।  

গতকাল রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাঁকে আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আজ দুপুরে তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকে চা-রুটির পাশাপাশি নানা ধরনের খাবারের দোকান বসত। সকাল–দুপুর ও রাতে এসব দোকানে খেতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীসহ এই এলাকায় আসা দর্শনার্থীদের অনেকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তে গত ৬ অক্টোবর দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হয়।

পুলিশ বলছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকে কোনো ভাসমান দোকান থাকবে না—এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সেখানকার সব দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়েছিল। সেই জায়গায় আবার দোকান করতে আসায় গতকাল রানু বেগমকে আটক করা হয়।

রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে শাহবাগ থানায় আটক থাকা রানু বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘রোববার দুপুরে তিনি পার্সেল করে খাবার নিয়ে আসেন। তখন কয়েকজন পুলিশ এসে তাঁকে জেরা করলে তিনি অপরাধ করেছেন বলে স্বীকার করে নেন এবং এখানে আর আসবেন না বলে জানান। এরপরও পুলিশ তাঁকে ধরে নিয়ে যায়।

আরও পড়ুন

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ফুটপাত দখল করে দোকান করার অভিযোগে তাঁর (রানু বেগম) বিরুদ্ধে নরমাল প্রসিকিউশন হয়েছে। এটিও একধরনের মামলা।

রানুর স্বামী বাদশাহ মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, আর সোহরওয়ার্দী উদ্যানে খাবারে পসরা নিয়ে বসবেন না মর্মে ৬০০ টাকার মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন রানু বেগম।