ছিনতাই হচ্ছে, অস্বীকার করব না: ডিবি প্রধান

আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেছেন, ঢাকায় ছিনতাই ও চুরি হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ডিবি প্রধান।

এক প্রশ্নের জবাবে হাফিজ আক্তার বলেন, ‘ঢাকায় এখন জনসমাগম বেড়েছে। ছিনতাই, বার্গলারিও (সিঁধেল চুরি) হচ্ছে। অস্বীকার করব না। তবে পুলিশ বসে নেই।’

সংবাদ সম্মেলনে ১৮ ডিসেম্বর রাজধানীর কর্ণফুলী গার্ডেন সিটির সোনার দোকানে চুরির ঘটনায় তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ। গতকাল সোমবার পৃথক অভিযানে বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে ডিবির রমনা বিভাগ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন শাহীদ মাতব্বর ওরফে শাহিন, শৈশব রায় ওরফে সুমন ও উত্তম কুমার সুর। তাঁদের মধ্যে শাহীদের বাড়ি ফরিদপুরের নগরকান্দা এবং শৈশবের বাড়ি বরিশালে। তাঁরা এর আগেও সংঘবদ্ধ চুরি করেছেন। শাহীদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত তিনটি মামলার তথ্য পেয়েছে পুলিশ।

পুলিশ কর্মকর্তা হাফিজ আক্তার বলেন, কর্ণফুলী গার্ডেন সিটির মোহনা জুয়েলার্স ও বেস্ট অ্যান্ড বেস্ট ক্রিয়েশন জুয়েল অ্যাভিনিউ জুয়েলার্সে চুরির অন্তত ১৫ দিন আগে শাহীদ ও শৈশব ঢাকায় আসেন। তাঁতীবাজারভিত্তিক একটি দোকানের মালিক উত্তম কুমার সুর তাঁদের ঢাকায় এসে চুরির বুদ্ধি দেন। প্রথমে বেশ কিছু বিপণিবিতানের আশপাশে ঘোরাঘুরি করেন তাঁরা। নিরাপত্তাব্যবস্থা কিছুটা ঢিলেঢালা দেখে কর্ণফুলী গার্ডেন সিটিতে চুরির পরিকল্পনা করেন। তাঁরা ওয়াশরুমের এগজস্ট ফ্যান খুলে সেদিক থেকে বিপণিবিতানের ভেতরে ঢোকেন ও দুটি দোকান থেকে সোনা চুরি করেন। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে চোরদের শনাক্ত করা হয়।

মামলার এজাহারে ৭০০ ভরি সোনা খোয়া যাওয়ার কথা বলা হয়। তবে গ্রেপ্তার তিনজনের কাছ থেকে ২১০ ভরি সোনা উদ্ধার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা বলেছেন, চুরি করে বের হওয়ার সময় কিছু অলঙ্কার ও টাকা রাস্তায় পড়ে যায়। এর মধ্যে হীরার তৈরি অলঙ্কারও ছিল। তাঁদের দাবি, হীরাকে ইমিটেশনের গয়না বলে মনে হয়েছিল বলে তাঁরা ওগুলো রাস্তায় ফেলে যান।

হাফিজ আক্তার আরও বলেন, চোরাই জিনিস নিজেদের হেফাজতে রাখা অপরাধ। কেউ যদি এগুলো পেয়ে থাকেন, দ্রুত যেন থানায় জমা দেন।