জামিন পেলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান

মহানগর দায়রা জজ আদালত
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নথি জালিয়াতির মামলায় জামিন পেলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান। সোমবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েস তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফয়েজ আহমেদ।

আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সোমবার আসামি শাহজাহান আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। তাঁর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম। অপর দিকে জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে বক্তব্য উপস্থাপন করেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত শাহজাহানের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগের জন্য ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান এনামুল হক, বুয়েটের প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক আবদুর রউফ, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিউপি) সাবেক কোষাধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদের নাম প্রস্তাব করে সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নথিটি প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করার পর তিনি অধ্যাপক এনামুল হকের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন। পরে ফাতেমা বেগম নামের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন অফিস সহকারী তরিকুল নামের একজন ছাত্রলীগ নেতার কাছে নথিটি তুলে দেন। জালিয়াতির মাধ্যমে এম এনামুল হকের নামের পাশে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া টিক চিহ্নটি ‘টেম্পারিং’ করা হয়। অধ্যাপক মো. আবদুর রউফের নামের পাশেও ক্রস চিহ্ন দিয়ে এম আবদুস সালাম আজাদের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন আসামিরা। পরে তা পাঠানো হয় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে, তখন জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক–৭ মোহাম্মদ রফিকুল আলম বাদী হয়ে ওই বছরের ৫ মে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় গত বছরের ১১ জুলাই ছাত্রলীগ নেতা তরিকুলসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

এরপর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। আসামি পক্ষের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মামলার অন্যতম আসামি ফাতেমা বেগম একজন সরকারি কর্মচারী। আসামিদের বিরুদ্ধে জালিয়াতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধ দুদকের শিডিউলভুক্ত অপরাধ হওয়ায় আদালতের নির্দেশে দুদক সাতজনের বিরুদ্ধে এই মামলা করে। সেখানে শাহজাহানকেও আসামি করা হয়। মামলাটি এখনো তদন্তাধীন।