টিপ পরায় হেনস্তার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি
কপালে টিপ পরায় লতা সমাদ্দার নামের এক নারীকে হেনস্তা করার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। কমিটি বলেছে, অভিযুক্ত কনস্টেবল নাজমুল তারেকের উল্টো পথে বাইক চালিয়ে আসা নিয়ে তাঁদের মধ্যে তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটে। তবে অভিযোগকারী নারীর কপালে টিপ পরা নিয়ে অভিযুক্তের মন্তব্যের বিষয়ে দুই ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে। বিষয়টি আরও যাচাই–বাচাইয়ের প্রয়োজন রয়েছে।
গত শনিবার রাজধানীর ফার্মগেটে তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক লতা সমাদ্দার টিপ পরা নিয়ে হেনস্তার অভিযোগ করেন পুলিশ সদস্য নাজমুল তারেকের বিরুদ্ধে। পরে নাজমুলকে শনাক্ত করে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। নাজমুল তারেক ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) প্রোটেকশন বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
এ ঘটনায় গত সোমবার দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ডিএমপি। গতকাল বৃহস্পতিবার কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা ছিল। তবে রাত ১১টা পর্যন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়নি তদন্ত কমিটি। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বিষয়ে সময় চাওয়া হতে পারে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঘটনার দিন ফার্মগেটের ওই সড়কে উল্টো পথে বাইক চালিয়ে আসছিলেন নাজমুল তারেক। এ সময় বিপরীত দিকে থেকে যাচ্ছিলেন তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক লতা সমাদ্দার। বাইক নিয়ে উল্টো পথে আসায় নাজমুল তারেককে ডাক দেন লতা সমাদ্দার। এতেই রেগে যান নাজমুল। ঝগড়ায় লিপ্ত হন দুজন। পরে লতা সমাদ্দারের শরীর ঘেঁষে বাইক টেনে চলে যান নাজমুল।
পরে নাজমুল দাবি করেন, ঘটনার সময় তাঁর সন্তানসম্ভবা স্ত্রী সঙ্গে ছিলেন। স্ত্রীকে চিকিৎসক দেখাতে বের হয়েছিলেন তিনি। তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ওই নারী (লতা) ঝগড়া করেন। এক পর্যায়ে তাঁর সঙ্গেও অভিযোগকারীর ঝগড়া হয়। টিপ পরা নিয়ে ওই নারীকে হেনস্তা করেননি তিনি। তবে ঘটনার সময় নাজমুলের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ছিলেন না বলে নিশ্চিত হয়েছে তদন্ত কমিটি।