ডিএনসিসির সব গাড়িতে সিসি ক্যামেরা বসবে: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সব গাড়িতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি জিপিএস ট্র্যাকারও লাগানো হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নগর ভবনের সভাকক্ষে চালকদের সঙ্গে আলোচনা সভায় মেয়র আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন। বেলা ১১টায় সভা শুরুর কথা থাকলেও প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা পর এ সভা শুরু হয়। সভায় চালকদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
মেয়র বলেন, নিজে বাসায় শুয়ে-বসে থেকে বদলি চালক দিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না। এর প্রমাণ পাওয়া গেলে চাকরিচ্যুত করা হবে। জিপিএস ট্র্যাকার লাগানো হবে সব গাড়িতে। প্রতিটি গাড়ি কোথায় যায়, কখন বের হয়—সবকিছুর রেকর্ড রাখা হবে। এসব নির্দেশনা না মানলে গোল্ডেন হ্যান্ডশেক (বিদায়) দেওয়া হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সব গাড়ির বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) নিবন্ধন ও নিয়মিত ফিটনেস পরীক্ষা করার ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র।
বিআরটিএতে চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ২৫ জন করে চালকের বিআরটিএতে পাঠানো হবে। তাঁদের সাত দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বছরে একবার এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে চালকদের।
বর্জ্যের কোনো গাড়ি দিনে চালানো যাবে না উল্লেখ করে আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, তবে জরুরি প্রয়োজনে কিছু গাড়ি চলবে। প্রত্যেক চালকের লাইসেন্স থাকতে হবে এবং সেটা সঙ্গে রাখতে হবে তাঁদের। গাড়ি নিয়ে বের হলে নিজের চিন্তা যেমন করতে হয়, তেমনি রাস্তায় যেসব মানুষ থাকে, তাদের কথাও মাথায় রাখতে হবে চালকদের।
চালকদের পক্ষে ডিএনসিসি পরিবহন চালক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাজাবুল হক বলেন, বর্জ্য সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়িকে সিটি করপোরেশনের লোগো ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না। ২০১৪ সালে ৬৮ জন চালক নিয়োগের যে প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরও থেমে গেছে, ওই নিয়োগ দিতে হবে। বহিরাগতদের হাতে কে গাড়ির চাবি তুলে দিল, সেটা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে এ সভায় শতাধিক চালক ছাড়াও ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।