পল্লবীর দুই বাসা থেকে ছাত্রী ও গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
রাজধানীর পল্লবীর ডিওএইচএস এলাকা থেকে গতকাল রোববার রাতে পৃথক ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রী ও এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ছাত্রীর নাম ওয়াফিয়া জামান ওরফে চয়ন (২২)। তিনি মিরপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) অ্যাকাউন্টিং ইনফরমেশন সিস্টেমে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। আর গৃহবধূর নাম ফারিন আহমেদ ওরফে মাহী।
পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল সমঝদার আজ সোমবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, বিইউপির ছাত্রী ওয়াফিয়া পল্লবীর ডিওএইচএস ২ নম্বর রোডে একটি বাড়ির ষষ্ঠ তলায় মেয়েদের মেসে থাকতেন। বিইউপির এক কর্মচারী ওই মেস পরিচালনা করতেন।
তিনিই গতকাল রাত জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯–এ কল করেন। সেখান থেকে পুলিশ খবর পেয়ে দিবাগত রাত তিনটার দিকে ডিওএইচএসের ওই বাড়ির দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ওয়াফিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
এসআই বলেন, ষষ্ঠ তলার ওই কক্ষে ওয়াফিয়া এবং আরও দুজন থাকতেন। গতকাল অন্য দুজন সেখানে ছিলেন না। ওয়াফিয়ার পরিবার খিলগাঁওয়ে থাকলেও পড়াশোনার সুবিধার জন্য ওয়াফিয়া মেসে থাকতেন। তাঁর বাবার নাম ওয়ালিউজ্জামান। বাড়ি গোপালগঞ্জে।
এদিকে পৃথক ঘটনায় গতকাল রাত আটটার দিকে পুলিশ পল্লবীর ডিওএইচএস ৩ নম্বর অ্যাভিনিউয়ের একটি বাড়ির দরজা ভেঙে ফারিন আহমদে ওরফে মাহীর (২৫) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। তিনি ওই বাসায় তাঁর স্বামী আকিব খানের সঙ্গে থাকতেন। তাঁদের কোনো সন্তান ছিল না। পুলিশ বলেছে, আকিব রাতে বাসায় ফিরে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পান।
পরে পল্লবী থানায় জানালে পুলিশ এসে ফারিনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ পাঠায়।
আজ দুপুরে যোগাযোগ করা হলে পল্লবী থানার ওসি পারভেজ ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এ ব্যাপারে পল্লবী থানায় পৃথক দুটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।