পাওনা টাকার দাবিতে আলেশামার্টের কার্যালয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবস্থান

পাওনা টাকা ফেরতের দাবিতে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশামার্টের কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। বুধবার বনানীতে
ছবি: প্রথম আলো

পাওনা টাকা ফেরতের দাবিতে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশামার্টের কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল শিক্ষার্থী। গতকাল বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত আলেশামার্টের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থান নেন তাঁরা। বুধবার দিবাগত রাত একটার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৩০ থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থী সেখানে অবস্থান করছিলেন।

আলেশামার্টের কার্যালয়ে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম শিকদার পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সে অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা বুধবার সকালে বনানীতে আলেশামার্টের  কার্যালয়ে যান। তবে বিভিন্ন অজুহাতে কালক্ষেপণ করতে থাকে আলেশামার্ট কর্তৃপক্ষ। পাওনা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীরা একপর্যায়ে স্লোগান দেওয়া শুরু করলে তাঁদের সঙ্গে আলেশামার্টের নিরাপত্তাকর্মীদের ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে শিক্ষার্থীরা কার্যালয়টির ভেতরে অবস্থান নেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের ছাত্র কামরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘পাওনা টাকার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থী আলেশামার্টের বনানী কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছি। গত সোমবার আমরা এখানে এসেছিলাম। তখন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান নিজেই আমাদের বুধবার টাকা নিতে আসতে বলেন। কিন্তু টাকা নিতে কার্যালয়ে ঢুকতে গেলে নিরাপত্তাকর্মীরা আমাদের বাধা দেন। তাঁদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতিও হয়। আমরা পাওনা টাকা ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত আলেশামার্ট কার্যালয়ে অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

রিদওয়ান উল্লাহ নামের এক শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আলেশামার্ট ছয় মাস ধরে আমার পণ্য ডেলিভারি দিচ্ছে না। এখন টাকা ফেরত চাইলে সেটাও দিচ্ছে না। ছয় থেকে সাতবার প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে এসেছি। সমাধান পাইনি। এরপর প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান নিজে আমাদের বুধবার টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু সারা দিন অপেক্ষা করিয়ে টাকা ফেরত না দিয়েই তিনি কার্যালয় ত্যাগ করেন। তাই আমরা আলেশামার্টের কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছি।’

শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে আলেশামার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম শিকদারের মুঠোফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি৷