বনানীর ধর্ষণ মামলার রায় আজ হচ্ছে না

বনানীতে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত পাঁচ আসামি—শাফাত আহমেদ, সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ, বিল্লাল হোসেন, রহমত আলী।
ফাইল ছবি

চার বছর আগের রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় রায় ঘোষণার দিন ঠিক ছিল আজ বুধবার। তবে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার মারা যাওয়ায় আজ আদালতের দৈনন্দিন বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। এ কারণে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার এই মামলার রায় ঘোষণার নতুন দিন ঠিক করবেন। প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানান ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আফরোজা ফারহানা আহমেদ।

পিপি আফরোজা ফারহানা আহমেদ বলেন, আজ মামলাটির রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার মারা যাওয়ায় নিম্ন আদালতের বিচারিক কার্যক্রমও আজ বন্ধ রয়েছে। এ জন্য আজ এই মামলার রায় হবে না। রায় ঘোষণার জন্য নতুন দিন ঠিক করবেন ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে ১২ অক্টোবর এই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু সেদিন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ছুটিতে ছিলেন। এ কারণে রায় ঘোষণার দিন পিছিয়ে যায়। রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ঠিক করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। এখন ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার জন্য আবার নতুন তারিখ দেবেন।

মামলার পাঁচ অভিযুক্ত আসামি হলেন—আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার হোসেনের ছেলে সাফাত আহমেদ, সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন। পাঁচজনই কারাগারে।

২০১৭ সালের ২৮ মার্চ রাতে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ডেকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে বনানী থানায় মামলা হয়।

২০১৭ সালের ১৩ জুলাই মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জানানো হয়, এই মামলায় ৪৭ সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। ৩ অক্টোবর এই মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। সেদিন এই মামলার পাঁচ আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চাওয়া হয়েছে।