বাপা ও বেনের বার্ষিক সম্মেলনে যা থাকছে

ছবি: প্রথম আলো

পরিবেশ ও জ্বালানি খাতের বর্তমান সংকটগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের পথ বের করতে ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি যৌথ বার্ষিক সম্মেলন করবে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন)। আয়োজকেরা বলছেন, মানুষকে সঙ্গে নিয়ে পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনের অংশ হিসেবে ‘জ্বালানি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং টেকসই উন্নয়ন’ শীর্ষক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক সংবাদ সম্মেলনে দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনের কর্মসূচি তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে বেনের প্রতিষ্ঠাতা নজরুল ইসলাম বলেন, দেশে অর্থনীতি ও উন্নয়নে জ্বালানি খাত গুরুত্বপূর্ণ। তবে জ্বালানির বিকাশ কোন ধারায় হচ্ছে, কী ধরনের জ্বালানি কতটুকু আহরিত ও ব্যবহৃত হবে, তা পরিবেশের অন্যতম নিয়ামক। বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষার জন্য জ্বালানির বিকাশ সঠিক ধারায় রাখা প্রয়োজন।’

নজরুল ইসলাম আরও বলেন, একসময় দেশে অনেক লোডশেডিং হতো। এখন লোডশেডিং, বিদ্যুৎ–বিভ্রাট নেই। তবে নতুন ধরনের সমস্যার উদ্ভব ঘটেছে। এসব সমস্যা সমাধানের পথ বের করতেই বাপা-বেনের বার্ষিক সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

সম্মেলনের সদস্যসচিব ও বাপার সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনের কর্মসূচি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মানুষকে সঙ্গে নিয়ে পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ সম্মেলন। এতে গবেষকেরা তাঁদের প্রবন্ধ, গবেষণা উপস্থাপন করবেন। পাশাপাশি নীতিনির্ধারক, অংশীজন, রাজনীতিবিদ ও সাধারণ মানুষের মতামত দেওয়ার সুযোগ থাকবে।

বাপার অস্ট্রেলিয়া কো-অর্ডিনেটর কামরুল আহসান খান বলেন, ‘আমরা একটা বিপর্যয়কর অবস্থার মধ্যে আছি। শব্দদূষণ থেকে বায়ুদূষণ, রাজনৈতিক দূষণ, দুর্নীতিদূষণ—সব জায়গায় আমরা দূষণে পরিপূর্ণ। অতএব এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে সবার অংশগ্রহণ দরকার।’

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, এবারের সম্মেলনটি জ্বালানি খাতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ নিয়ে আন্দোলন চলছে। আসলে ভুল নীতি এবং দুর্নীতির কারণে এই সংকটগুলো অব্যাহত আছে, থাকছে।

এই ভুল নীতি দূর করে বিকল্প কী নীতি নেওয়া যায়, সে ব্যাপারে আসন্ন সম্মেলনে দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

ভার্চ্যুয়াল ও সশরীর—দুইভাবেই এ সম্মেলনে অংশ নেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা।