বিমানবন্দরে দায়িত্বে অবহেলা করলেই বিভাগীয় ব্যবস্থা: বিমান প্রতিমন্ত্রী

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীছবি: সংগৃহীত

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মীদের কেউ দায়িত্বে অবহেলা করলে তাঁদের তালিকা তৈরি করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

যাত্রী হয়রানির অভিযোগের ভিত্তিতে আজ বুধবার বিমানবন্দরের ব্যাগেজ এরিয়া, কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন এরিয়া এবং আরটি–পিসিআরের জন্য নির্ধারিত এলাকা পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় বাংলাদেশ বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এমন নির্দেশনা দেন তিনি।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিদর্শনের সময় প্রতিমন্ত্রী বিমানবন্দরের আসা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। যাত্রীসেবা নিয়ে তাঁদের কোনো অভিযোগ আছে কি না, তা জানতে চান। এ সময় যাত্রীদের অনেকে ট্রলি পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিমন্ত্রী ব্যাগেজ এরিয়ার প্রতিটি বেল্টে একজন করে ট্রলিম্যানকে দায়িত্বে রাখার জন্য বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালককে নির্দেশনা দেন।
বিমানবন্দরের চেকইন কাউন্টারে বিমানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা যথা সময়ে দায়িত্ব পালন করেন কি না, সে বিষয়ে নিয়মিত এয়ারলাইনসগুলো থেকে তথ্য নেওয়া হবে বলে বলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে দায়িত্বে অবহেলা করে, তবে তাঁর বিরুদ্ধে চরম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নির্দিষ্ট সময়ে কাউন্টারে না এলে চাকরি থাকবে না।

কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনে কর্মরতদের পেশাদারির সঙ্গে দ্রুত সেবা প্রদানের নির্দেশনা দিয়ে মাহবুব আলী বলেন, যাত্রীদের দ্রুত সেবা দিতে হবে। কোনোভাবেই সেবা ব্যাহত করা যাবে না বা কাজ বন্ধ রাখা যাবে না। যাত্রীসেবার মান নিশ্চিতের জন্য বিমানবন্দরে কর্মরত সব সংস্থার লোকজনকে ঐক্যবদ্ধভাবে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।

বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রানজিট যাত্রীদের কাস্টমস চেকিংয়ে সময় বেশি লাগায় বিভিন্ন ফ্লাইট বিলম্ব হওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ট্রানজিট যাত্রীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাস্টমস চেকিং সম্পন্ন করতে হবে। প্রয়োজনে তাঁদের জন্য আলাদা ডেস্ক এবং কিউয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

যাত্রী হয়রানি রোধে এবং করোনা পরীক্ষার ক্রম ব্যবস্থাপনার স্বার্থে আরটি–পিসিআরের জন্য নির্ধারিত এলাকায় আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কিউ কিওস্ক বসানোর জন্য দায়িত্বরত ব্যক্তিদের নির্দেশনা দেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় তিনি পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত এলাকার দোকানগুলোর খাবারের মান এবং দাম সম্পর্কে খোঁজ নেন।

প্রতিমন্ত্রীর পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (নিরাপত্তা) আবু সালেহ মাহমুদ মান্নাফি, বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এ এইচ এম তৌহিদুল আহসান প্রমুখ।