বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে পাকিস্তানিরা বাঙালি আদর্শকে নিঃশেষ করতে চেয়েছিল

পাকিস্তান ঠিক আগেই বুঝেছিল, বুদ্ধিজীবীরা থাকলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। তাই বাছাই করে মুক্তিযুদ্ধের শেষ মুহূর্তে তাঁদের হত্যা করা হয়। জাতিকে মেধাশূন্য করতে পাকিস্তানিরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল। বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মধ্য দিয়ে তাঁরা নিঃশেষ করতে চেয়েছিল বাঙালি আদর্শকে।

মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে উপলক্ষে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) একাংশের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন—বিএফইউজের একাংশের সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল।

এ সময় ইংরেজি দৈনিক অবজারভারের সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, বুদ্ধিজীবীদের চিহ্নিত করে হত্যা করা হয়েছিল। সরাসরি যুদ্ধ না করলেও তাঁদের অস্ত্র ছিল কলম, আর ছিল বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলন।

একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনে বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্নকে কলম ও লেখনীর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ায় তাঁদের হত্যা করা হয়।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলমের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, ডিইউজের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ প্রমুখ।