নূর নবীর ভাই সবুজ মিয়া জানান, তাঁদের গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ি জেলার পাংশায়। বাবার নাম ইসলাম মন্ডল। নূর নবীর স্ত্রী পপি ছয় বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। করোনার কারণে অনেক দিন গ্রামেই ছিলেন নূর নবী। মাসখানেক আগে ঢাকায় আসেন। ভ্যান চালিয়ে যা আয় হয়, সেখান থেকে ৩০০ টাকা প্রতিদিন মালিককে দিতে হতো। তিনি ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে একটি মেসে থাকতেন।
গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে রাজধানীর মগবাজার ওয়্যারলেস গেট এলাকায় বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে মূল সড়কের পাশে তিনটি ভবন প্রায় বিধ্বস্ত হয়। আশপাশের অন্তত সাতটি ভবনের কাচ উড়ে গেছে। দুমড়েমুচড়ে গেছে রাস্তায় থাকা তিনটি বাস। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার 'অবহেলাজনিত মৃত্যুর' অভিযোগ এনে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।বিস্ফোরণের কারণ ও সূত্রপাত কোথা থেকে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ভবনে অতি পুরোনো বৈদ্যুতিক লাইন ব্যবহার করা হচ্ছিল। ত্রুটিপূর্ণ গ্যাস ব্যবস্থাপনা থাকায় ভবনের ভেতরে গ্যাস জমে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে। নিচতলার শরমা হাউস, বেঙ্গল মিট, গ্র্যান্ড কনফেকশনারি এবং দ্বিতীয় তলায় থাকা সিঙ্গারের অবহেলাও থাকতে পারে। তারা অননুমোদিত গ্যাস ও বৈদ্যুতিক সামগ্রী ব্যবহার করছিল বলেও প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের অবহেলাজনিত গ্যাস সরবরাহ, বিদ্যুৎ কোম্পানির ত্রুটিপূর্ণ সংযোগ এবং সিটি করপোরেশনের অপরিকল্পিত ও গাফিলতিপূর্ণ ড্রেন খননের কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে কি না, তা তদন্তযোগ্য। এজাহারে এসব সন্দেহের বিষয় উল্লেখ করে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে কাউকে আসামি করা হয়নি।