মধ্যপ্রাচ্যের টিকিটের দাম কমানোর দাবি প্রবাসীদের
প্রবাসী বাংলাদেশিরা ন্যায্য নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত অভিযোগ করে তাঁদের অধিকার আদায়ে ১০টি দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের উড়োজাহাজের টিকিটের দাম কমানোর দাবি তুলেছে তারা।
আজ রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এসব দাবি তোলা হয়।
প্রবাসী অধিকার পরিষদের দাবির মধ্যে রয়েছে, প্রবাসজীবনে মারা যাওয়া বাংলাদেশিদের মৃতদেহ রাষ্ট্রীয় খরচে দেশে আনা, প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটাধিকার প্রদান, বিমানবন্দরে প্রবাসীদের হয়রানি বন্ধ করা, দ্বৈত নাগরিকত্ব আইন ও পেনশন সুবিধা প্রদান, দালালমুক্ত পাসপোর্ট ও দূতাবাস সেবা, প্রবাসী সুরক্ষা আইন কার্যকর করা, বাজেটে প্রবাসীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ, বিদেশে কাগজপত্রবিহীন প্রবাসীদের বৈধকরণে সরকারের সহযোগিতা প্রদান, দূতাবাসে শ্রমকল্যাণ শাখা খোলা, অভিবাসন ব্যয় ১ লাখ টাকার মধ্যে সীমিত করা এবং বিদেশফেরত প্রবাসীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, সুদমুক্ত ও পর্যাপ্ত ঋণ সুবিধা দেওয়া।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, এক মাস ধরে বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যেতে বাংলাদেশ বিমানসহ অন্যান্য উড়োজাহাজ সংস্থার ভাড়া অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় কর্মস্থলে সমস্যায় পড়ছেন প্রবাসীরা। টিকিটের দামের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে অভিবাসন ব্যয় বেড়েছে।
এ অবস্থায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কাছে তিন দফা দাবি জানিয়েছে পরিষদ। এগুলো হলো বাংলাদেশ বিমানসহ অন্যান্য উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থার টিকিটের দাম কমানো, মধ্যপ্রাচ্যে ফ্লাইট বাড়ানো ও টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে রেগুলেটরি বোর্ড গঠন।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক বলেন, টিকিটের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সরকারের কোনো অর্থ খরচের প্রয়োজন নেই, দরকার মানসিকতার। যে দেশে জনগণের সরকার নেই, সে দেশে নৈরাজ্য চলতেই থাকে।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলোতে বাংলাদেশ বিমানসহ অন্যান্য সংস্থার ভাড়া বাড়েনি উল্লেখ করে নুরুল হক বলেন, এসব দেশে যাঁরা যাতায়াত করেন, ভাড়া বাড়ালে তাঁরা সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবেন। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমজীবী মানুষের ওপর ভাড়ার বোঝা বাড়ালে সরকারের কোনো সমস্যা হবে না। আর এ জন্য মধ্যপ্রাচ্যের টিকিটের দাম বাড়ছে।