মন্দিরে হামলাকারীদের বিচারের দাবি

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শনিবার সকালে বিক্ষোভ করে হিন্দু পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন
ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর নির্যাতন আগের সব ঘটনা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। দুর্গাপূজার সময় অস্থিরতা তৈরির জন্য কুমিল্লায় মন্দিরের ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। এমন মন্তব্য করে আগামী তিন দিনের মধ্যে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে তাঁদের বিচার করার দাবি জানিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আজ শনিবার সকালে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি পালন করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। হিন্দু সম্প্রদায়ের অনুসারী আটটি সংগঠনের ব্যানারে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।

কর্মসূচিতে এসব সংগঠনের নেতারা বলেন, আগেও ধর্ম অবমাননার কথা বলে নাসিরনগর, রাউজান, ফটিকছড়ি, কক্সবাজার, দিনাজপুর, সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর কয়েক ডজন হামলার ঘটনা ঘটেছে‌। ওই সব ঘটনার বিচার ও দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি না হওয়ার কারণেই দেশে বারবার সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা–নির্যাতন হচ্ছে।

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল দুরভিসন্ধিমূলকভাবে কুমিল্লার পূজামণ্ডপের ঘটনা ঘটিয়েছে। এরপর বিভিন্ন জায়গায় মণ্ডপে ভাঙচুর, আগুন দেওয়া, বাড়িঘরে হামলা, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পিটিয়ে আহত করার মতো ঘটনা ঘটেছে।

গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, পরিকল্পিতভাবে দেশে অস্থিরতা তৈরির জন্য এসব ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে তাঁদের বিচার করতে হবে। অন্যথায় হিন্দু মহাজোট সারা দেশে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তুলবে।

পাশাপাশি আরেকটি মানববন্ধনে বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাজন কুমার বলেন, দেশে বর্তমানে হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের যে পরিস্থিতি, তা নির্যাতনের ইতিহাসকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। অসাম্প্রদায়িক সরকারের কাছে দেশের মানুষ এটি আশা করে না।

মানববন্ধন থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের ওপর নির্যাতন বন্ধ করা ও সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি প্রীতি ভূষণ হোসেন ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই দেশে আমরা সবাই নিরাপদে, শান্তিতে বসবাস করতে চাই। এ জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একই সময়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে বাংলাদেশ হিন্দু ছাত্র জোট, বাংলাদেশ হিন্দু যুব পরিষদ, শারদাঞ্জলি ফোরাম, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাসংঘ, বাংলাদেশ সনাতন কল্যাণ জোট ও জাগো হিন্দু পরিষদ।