শাহবাগ চত্বরে কর্মসূচিতে আর বিদ্যুৎ দেবে না জাদুঘর

শাহবাগ চত্বরে বিভিন্ন কর্মসূচিতে জাতীয় জাদুঘর থেকে বিদ্যুুতের সংযোগ আনা হতো
ফাইল ছবি

বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও নাগরিক সংগঠনের হরেক কর্মসূচির ভেন্যু হিসেবে বহুল পরিচিত রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনের চত্বরটিতে কর্মসূচিগুলোতে ব্যবহৃত মাইকের বিদ্যুৎ–সংযোগ এত দিন জাতীয় জাদুঘর থেকে বিনা মূল্যেই পেয়ে আসছিল সংগঠনগুলো। কিন্তু এবার এতে লাগাম টানতে চান জাদুঘরের মহাপরিচালক।

জাদুঘরের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী এমন কাজের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজ শনিবার বিকেলে জাদুঘরের সামনে ‘মৌলবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধে জাগরণ’ শীর্ষক এক সমাবেশের আয়োজন করেছিল গৌরব ‘৭১ নামের একটি সংগঠন। এ কর্মসূচিতে জাতীয় জাদুঘর বিদ্যুৎ–সংযোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, যদিও চলতি মাসেই বেশ কিছু কর্মসূচিতে জাদুঘর বিদ্যুৎ–সংযোগ দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কর্মসূচিগুলোতে বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়া হলে জাতীয় জাদুঘরের বিদ্যুৎ সরবরাহ-প্রক্রিয়ার ওপর চাপ পড়ে। এতে নিরাপত্তা-ঝুঁকি তৈরি হয়। আর এভাবে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়াটা অবৈধ।

কর্মসূচিগুলোতে বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়া হলে জাতীয় জাদুঘরের বিদ্যুৎ সরবরাহ-প্রক্রিয়ার ওপর চাপ পড়ে। এতে নিরাপত্তা-ঝুঁকি তৈরি হয়। আর এভাবে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়াটা অবৈধ।
খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক

জাদুঘরের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী এমন কাজের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মহাপরিচালক।

মহাপরিচালকের দাবি, চলতি বছরের জুনে তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে কাউকেই অবৈধভাবে বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়া হচ্ছে না৷

তবে বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের বক্তব্যের সঙ্গে জাদুঘরের মহাপরিচালকের দাবির মিল পাওয়া যায়নি। চলতি মাস ডিসেম্বরেই জাদুঘরের সামনে কর্মসূচি করেছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, ছাত্র ইউনিয়নসহ নানা সংগঠন।

মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আল মামুন প্রথম আলোকে বললেন, কর্মসূচির সময় তাঁরা মাইকের জন্য জাতীয় জাদুঘর থেকে বিনা মূল্যেই বিদ্যুৎ–সংযোগ নিয়েছেন। ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক রাগীব নাঈমও বলেছেন, জাদুঘরের সামনে কর্মসূচি করলে মাইকের বিদ্যুতের সংযোগ তাঁরা জাদুঘর থেকেই নেন।

গৌরব ‘৭১-এর সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘সেই গণজাগরণ মঞ্চের সময় থেকে এখন পর্যন্ত জাদুঘরের সামনে আমরা নানা কর্মসূচি করে আসছি। সব সময় জাদুঘর থেকেই বিদ্যুৎ–সংযোগ নিয়েছি। আজ হঠাৎ শুনছি যে সংযোগ দেওয়া হয় না। সম্ভবত অনেকেই চান না যে মৌলবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হোক।’