সাংবাদিককে মারধরে মামলা, ঢাকায় যুবলীগের সাবেক নেতা গ্রেপ্তার
রাজধানীর মগবাজারের পেয়ারাবাগ এলাকায় সাংবাদিক এমদাদুল হক খানকে মারধর ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করার অভিযোগে করা মামলায় রমনা থানা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি খোরশেদুল আলম ওরফে মাসুদকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খোরশেদুল টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইলের খাদ্যগুদামের পরিদর্শক। তাঁকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশীদ।
হাতিরঝিল থানা–পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত বুধবার রাতে খোরশেদুল আলম তাঁর সহযোগীদের নিয়ে পেয়ারাবাগের ভাড়া বাসায় ঢুকে এমদাদুল হককে মারধর ও ভবনের নিচতলায় রাখা তাঁর মোটরসাইকেলটি ভাঙচুর করেন। এমদাদুল হক ওই রাতেই খোরশেদুল আলম ও আরও অজ্ঞাত দুজনের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন।
মামলায় খোরশেদুলের বিরুদ্ধে জোর করে বাসায় ঢুকে হামলা চালিয়ে এমদাদুলকে জখম করে বাসা থেকে মালামাল চুরি, ভাঙচুর ও এমদাদুলের স্ত্রীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ আনা হয়।
মামলায় বলা হয়, এমদাদুল যে ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন, সেটি খোরশেদুলের স্ত্রীর নামে। এমদাদুল তিন মাসের লিখিত চুক্তিতে সম্প্রতি এ ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন। বুধবার রাত ১১টার দিকে খোরশেদুল ও অজ্ঞাত দু–তিনজন এমদাদুলের ফ্ল্যাটের কলবেল বাজান। এ সময় এমদাদুলের স্ত্রীর দরজা খুলে দিলে খোরশেদুল তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন এবং বাসার ভেতরে ঢোকেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই এমদাদুলকে কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকেন খোরশেদুল। এ সময় এমদাদুলকে বাঁচাতে গেলে তাঁর স্ত্রীকেও মারধর করেন এবং তাঁর গলা থেকে সোনার চেইন ছিনিয়ে নেন। পরে খোরশেদুল তাঁর সহযোগীদের নিয়ে বাড়ির গ্যারেজে থাকা মোটরসাইকলটি ভাঙচুর করেন।
মামলার বাদী এমদাদুল বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সদস্য। তাঁর ওপর হামলার ঘটনায় ক্র্যাব উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ক্র্যাবের সভাপতি মির্জা মেহেদি তমাল ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামানসহ কার্যনির্বাহী কমিটি হামলায় জড়িত খোরশেদুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।