১৭টি ব্রাহামা গরু ছাড়ের আবেদন ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ
ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জব্দ করা ব্রাহামা জাতের ১৭টি গরু ছাড়করণ চেয়ে করা আবেদন ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
জব্দ গরুগুলো ছাড়করণে কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষের কাছে গত ১৭ জুলাই আবেদন করেন সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক মোহাম্মদ ইমরান হোসেন। ফল না পেয়ে আবেদন নিষ্পত্তিতে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ ও গরুগুলো ছাড়করণের নির্দেশনা চেয়ে চলতি সপ্তাহে রিট করেন ইমরান।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস ও মোহাম্মদ মেহেদী হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও বিপুল বাগমার।
গত ৫ জুলাই হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আনা ব্রাহামা জাতের ১৮টি গরু জব্দ করে ঢাকা কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ।
পরদিন কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার (প্রিভেন্টিভ) মোহাম্মদ আবদুস সাদেক জানান, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস থেকে টার্কিশ এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ কার্গো ফ্লাইটে গরুগুলো শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে। পরে ঢাকা কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা বিমানবন্দর থেকে গরুগুলোকে মালিকবিহীন অবস্থায় জব্দ করেন।
বাংলাদেশে ব্রাহামা জাতের গরু আমদানির অনুমতি না থাকা এবং গরুর আমদানিকারককে না পাওয়ায় এগুলো জব্দ করা হয়।
জব্দ করা প্রতিটি গরুর বাজারমূল্য ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কাস্টম হাউস সূত্র জানিয়েছে, ১৩ থেকে ৬০ মাস বয়সী এই গরুগুলোর আমদানিকারক হিসেবে মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রোর নাম লেখা রয়েছে। বিমানবন্দরে জব্দ করা বিদেশি গরুগুলো কেউ নিতে আসেননি।
সবশেষ অবস্থা সম্পর্কে রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মোহাম্মদ মেহেদী হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ১৮টি গুরু জব্দ করা হয়েছিল। তার মধ্যে একটি মারা গেছে। বাকি গরুগুলোর ছাড়করণ চেয়ে সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন গত রোববার রিট করেন। আদালত ১৭টি গরু ছাড়করণে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে সাদিক অ্যাগ্রোর করা করা আবেদনটি ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন। কাস্টম হাউসের হেফাজতে গরু রাখার ব্যবস্থা না থাকায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের জিম্মায় ৬ জুলাই থেকে ১৭টি গরু সাভার ডেইরি ফার্মে রয়েছে।