১৮ দিন ধরে নিখোঁজ শিক্ষকের সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলন
ঢাকার সাভারের বেসরকারি একটি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণ (৩৬) ১৮ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার। মিন্টু চন্দ্র বর্মণের সন্ধান চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। তাঁর খোঁজ মেলেনি।
মিন্টু চন্দ্র বর্মণ সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আজ রোববার ঢাকার ক্রাইম রিপোর্টার্স ইউনিটির (ক্র্যাব) মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান নিখোঁজ মিন্টুর ভাই দীপক চন্দ্র বর্মণ। মিন্টু চন্দ্র বর্মণের গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নিখোঁজ মিন্টু চন্দ্র বর্মণ সাত বছর ধরে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় বসবাস করতেন। তিনি সেখানকার আমিন মডেল টাউন স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতা করতেন। দুই বছর আগে (২০১৯ সাল) মিন্টু চন্দ্র বর্মণসহ চারজন মিলে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার একটি বাসা ভাড়া নিয়ে সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। ওই প্রতিষ্ঠানের অপর তিন প্রতিষ্ঠাতা হলেন রবিউল ইসলাম, মোতালেব ও শামসুজ্জামান। তবে গত ১৩ জুলাইয়ের পর থেকে মিন্টু চন্দ্র বর্মণের খোঁজ মিলছে না। তাঁর মুঠোফোনটিও বন্ধ রয়েছে।
মিন্টু চন্দ্র বর্মণকে উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা চেয়েছেন ভাই দীপক চন্দ্র বর্মণ।
সংবাদ সম্মেলনে দীপক চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘১৮ দিন হয়ে গেল, আমার ভাইয়ের কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। কেউ বলতে পারছে না, আমার ভাই কোথায়?’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মিন্টুর চাচাতো ভাই কৃষ্ণ চন্দ্র বর্মণ ও কালী শঙ্কর বর্মণ।
জিডির তদন্ত কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিলন ফকির প্রথম আলোকে বলেন, ইতিমধ্যে অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণের মুঠোফোনের কল ডিটেইলস রেকর্ড (সিডিআর) সংগ্রহ করা হয়েছে। তাঁর সর্বশেষ অবস্থান জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। সর্বশেষ কার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়েছে এবং কোনো লোকের সঙ্গে তাঁর বিরোধ ছিল কি না, সব তথ্য জানার চেষ্টা হচ্ছে।