৮১০ টাকার ভাড়া ১ হাজার ৪০০ টাকা নেওয়ার যে ব্যাখ্যা পাওয়া গেল

ছবি: প্রদীপ সরকার

রাজধানী ঢাকার গাবতলী থেকে নীলফামারীর সৈয়দপুরের সরকার নির্ধারিত ভাড়া ৮১০ টাকা হলেও মো. আলী কায়েস নামের এক যাত্রীর কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৪০০ টাকা। আজ শনিবার দুপুরে গাবতলী আন্তজেলা বাস টার্মিনালে এই বাড়তি ভাড়া নেয় রিজভী ট্রাভেলস।

আলী কায়েস প্রথম আলোকে বলেন, ‘টিকিটে তারা ১ হাজার ৩০০ টাকা ভাড়া লিখেছে, তবে আমার কাছ থেকে নিয়েছে ১ হাজার ৪০০ টাকা।’

আলী কায়েস জানান, তাঁর গ্রামের বাড়ি সিলেটে। শ্বশুরবাড়ি সৈয়দপুরে। এবারের ঈদ তিনি শ্বশুরবাড়িতে করবেন। তিনি বলেন, ‘অন্যান্য কাউন্টারে টিকিট নেই। পরে এটা পেলাম। বাড়তি দামেই নিলাম।’

টিকিটে ১ হাজার ৩০০ টাকা উল্লেখ করলেও ১ হাজার ৪০০ টাকা নেওয়া প্রসঙ্গে রিজভী ট্রাভেলসের কাউন্টারের এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি ১০০ টাকা খাব। এটা মালিকও জানে।’

বাড়তি ভাড়া নেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রিজভী ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুজ্জামান পরিচয় দিয়ে কাউন্টার থেকে এক ব্যক্তি প্রথম আলোকে বলেন, ‘২ হাজার টাকাও তো রাখা হয়েছে পরশু দিন। এ ছাড়া সেই গাড়ি পঞ্চগড়ের। বগুড়া গেলেও একই ভাড়া। শেষ স্টপেজ পর্যন্ত বাসের যে ভাড়া, তা–ই দিতে হবে। ওই সাইট (সৈয়দপুরের পর) দিয়ে তো যাত্রী থাকে না। (সৈয়দপুর থেকে) খালি গাড়ি যাবে, সেই ভাড়া দেবেন না? ঈদের চার-পাঁচ দিন পরে আসবেন, তখন যে আড়াই শ টাকা দিয়ে নেব, তখন কি যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে দেবেন?’

কামরুজ্জামান আরও বলেন, ‘৩৬৫ দিনে বছর। এক দিন আপনি দেখছেন ভাড়া বেশি নিচ্ছি। যখন আপনি ১ হাজার ৩০০ টাকার ভাড়া ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দেন, তখন গাড়িওয়ালা কি ফেলে রেখে যায়? নিয়ে যায়। সেদিন তো আপনারা আসেন না।’

উত্তরবঙ্গ থেকে বাস আসার সময় খালি আসছে উল্লেখ করে কামরুজ্জামান আরও বলেন, ‘ওই মোড়া (উত্তরবঙ্গ) থেকে কোনো শিয়াল-কুত্তা নাই। গাড়িওয়ালা কি ভর্তুকি দিয়ে গাড়ি নিয়ে আসবে? তেল নেবে কী দিয়ে? স্টাফদের বেতন দেবে কী দিয়ে? এই হিসাব আপনারা করবেন না?’