গেন্ডারিয়ায় গ্যাসলাইনে ‘লিকেজ’, বিস্ফোরণ-আগুনে দগ্ধ ৯
রাজধানীর গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা বাজার এলাকায় গ্যাসলাইনের ‘লিকেজ’ থেকে বিস্ফোরণ-আগুনে শিশুসহ ৯ জন দগ্ধ হয়েছেন। আজ সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে বলে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ জানায়।
আজ তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ধূপখোলা বাজারে ওয়াসার ঠিকাদারের পানির পাইপ স্থাপনের সময় তিতাস গ্যাসের পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিতাস গ্যাসের জরুরি দল ক্ষতিগ্রস্ত পাইপলাইন মেরামতের কাজ করছে।
বিস্ফোরণ-আগুনে দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে ছয়জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন মেহেদি হাসান (২৫), মো. সোহেল (৪৮), আলী হোসেন (৫২), রাশেদ মিয়া (৩২), সাহারা বেগম (৬৫), মিজানুর রহমান (৩২), আবদুর রহিম (৫০), তাঁর মেয়ে মিম আক্তার (২১) ও মিমের ছেলে মো. আলিফ (২)। মেহেদি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি মিম আক্তারের ভাষ্য, ধূপখোলা বাজার এলাকায় রাস্তার পাশে ওয়াসার পানির লাইনের খননকাজ চলছিল। সেখানে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। রাস্তার পাশেই তাঁদের দোকান ও বাসায় এই বিস্ফোরণ থেকে সৃষ্ট আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে তিনিসহ তাঁর পরিবারের তিনজন দগ্ধ হন।
দগ্ধ মেহেদির বন্ধু হাসান আলী প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ধূপখোলা এলাকাতেই থাকেন। মেহেদি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। মেহেদি আজ সকালে বাজার করতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে জানানো হয়, গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা বাজার এলাকায় গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে আগুনের ঘটনা ঘটে বলে তারা জানতে পারে। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়।
গেন্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ওয়াসার লাইনের খননকাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। একপর্যায়ে গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ও আগুন ধরে যায়। এতে কয়েকজন দগ্ধ হয়েছেন।