করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি বিপজ্জনক: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

করোনাভাইরাস প্রতীকী ছবি।

দেশে আগের সপ্তাহের তুলনায় গত এক সপ্তাহে করোনা রোগী বেড়েছে ১৬৯ শতাংশ। কয়েক দিন ধরেই করোনার সংক্রমণে উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিকে ‘অ্যালার্মিং’ (বিপজ্জনক) বলে উল্লেখ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

আজ বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চ্যুয়াল বুলেটিনে সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরেন অধিদপ্তরের মুখপাত্র মো. রোবেদ আমিন। তিনি বলেন, সব মহাদেশেই বর্তমানে সবচেয়ে বেশি করোনা শনাক্ত হচ্ছে। অমিক্রনের পাশাপাশি ডেলটা ধরন—দুটিই অবস্থান করছে। সংক্রমণ হঠাৎ মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গেলে ধরে নিতে হবে করোনার নতুন যে ধরন, তারই সংক্রমণ বেশি হচ্ছে।

বুলেটিনে জানানো হয়, গত ১ সপ্তাহে বাংলাদেশে ১০ শতাংশের বেশি পরীক্ষা বেড়েছে। সাত দিনে দেড় লাখ পরীক্ষা হয়েছে। রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ৪৭৪ জন। এর আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সাত দিনে ছয় হাজার রোগী বেশি শনাক্ত হয়েছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে ১৬৯ দশমিক ১২ শতাংশ রোগী বেড়েছে।

রোবেদ আমিন বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানের পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দ্বিগুণ হয়ে গেছে। ৫ জানুয়ারি শনাক্ত ছিল ৪ দশমিক ২০ শতাংশ। ১১ জানুয়ারি এসে তা দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৯৭ শতাংশে।

১ জানুয়ারি পর্যন্ত সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ছিল জানিয়ে রোবেদ আমিন বলেন, ‘এর পর থেকে সংক্রমণ ক্রমাগত বাড়ছে। যেটা আমাদের জন্য অ্যালার্মিং। পুরো ডিসেম্বরে ৪ হাজার ৫৮৮ রোগী শনাক্ত হয়েছিল, সেখানে জানুয়ারির মাত্র ১১ দিনে ১২ হাজার ৮৫০ রোগী শনাক্ত হয়েছে।’

ঢাকা ও রাঙামাটি করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে বুলেটিনে জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত এক সপ্তাহের করোনা সংক্রমণের তথ্য বিশ্লেষণ করে জানায়, রাজধানী ঢাকায় করোনার সংক্রমণ ১২ দশমিক ৯০ শতাংশ। রাঙামাটিতে করোনার সংক্রমণ হার ১০ শতাংশ। হলুদ জোন বা অপরিবর্তিত মধ্যম ঝুঁকি বা কম থেকে মধ্যম ঝুঁকিতে আছে দেশের সীমান্তবর্তী জেলা যশোর, রাজশাহী, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, নাটোর ও রংপুর। এ ছাড়া কম ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে দেশের ৫৪টি জেলা।