মৃত্যু ২৭ হাজার ছাড়াল, শনাক্তের হার ৬ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন

দেশে করোনার প্রকোপ কমেছে, মৃত্যুর সঙ্গে রোগী শনাক্তের হারও নেমেছে
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। দৈনিক মৃত্যুর হিসাবে এটা তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। দেশে করোনার ডেলটা ধরনের দাপট শুরু হওয়ার পর এর চেয়ে কম ৩০ জনের মৃত্যুর খবর এসেছিল গত ৭ জুন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যুর পাশাপাশি পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হারও কমেছে। রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৫৪ শতাংশ, যা ছয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। রোগী শনাক্তের হার এর চেয়ে কম ছিল গত ১৩ মার্চ, সেদিন আগের ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ৬ দশমিক ২৬ শতাংশ।

কোনো দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে কি না, তা বুঝতে রোগী শনাক্তের হার বিবেচনায় নেওয়া হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা হয়।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৭৪ জন। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ও রোগী শনাক্তের হার কমলেও নতুন রোগী বেড়েছে। আগের দিন দেশে করোনায় ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ৯৫৩ জন। রোগী শনাক্তের হার ছিল ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা হয় ৩১ হাজার ৭২৪টি নমুনা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সব মিলিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪০।

দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৭ জনের। আর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬৬৮ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৭৩৫ জন।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রামে মারা গেছে ৮ জন। বাকিরা অন্যান্য বিভাগের। গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে ২১ জন পুরুষ, নারী ১৪ জন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এরপর বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণ কমবেশি হলেও গত জুন থেকে করোনার ডেলটা ধরনের দাপটে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ে।

দুই মাসের বেশি সময় ধরে করোনার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে। এর মধ্যে আগস্টে দেশে করোনার গণটিকাদান শুরু হয়। গত মাসের শেষ দিকেই দেশে করোনা সংক্রমণ ও এতে মৃত্যু কমতে থাকে।